ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় দিন। কিন্তু একই পিচে প্রথম টেস্টের পাঁচ দিনের খেলা হয়েছে বলে আদতে এটি সপ্তম দিনের উইকেট। আর এমন উইকেটে স্পিনারদের দাপট কেমন হতে পারে, সেটিই দেখা গেল আজ মুলতানে।
দিনের শেষ বেলায় মাত্র ১৮ বলের মধ্যে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। অফ স্পিনার সাজিদ খান আর লেগ স্পিনার নোমান আলীর দ্বিমুখী আক্রমণের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ২৩৯ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান দ্বিতীয় দিন শেষে এগিয়ে ১২৭ রানে।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিং শুরু করা ইংল্যান্ড প্রথম থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। প্রথম ১২ ওভারেই ৭৩ রান যোগ করে ফেলেছিলেন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। ক্রলিকে রিভিউ নিয়ে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন নোমান। এরপর ইংল্যান্ডের রান যখন ১২৫, ওলি পোপকে বোল্ড করেন সাজিদ।
দুই ব্যাটসম্যানকে হারালেও ডাকেট ও জো রুটের ব্যাটে চড়ে ইংল্যান্ডের রান বাড়ছিল ওভার চারের বেশি হারেই। ৪১ ওভার শেষে সফরকারীদের রান ছিল ২ উইকেটে ২১০। সাজিদের করা ইনিংসের ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলে রুটের উইকেট দিয়ে শুরু হয় ব্যাটিং-বিপর্যয়। সুইপ করতে গিয়ে বল স্টাম্পে টেনে আনেন রুট (৫৪ বলে ৩৪)।
পরের ওভারে সাজিদের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন ডাকেট। চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ডাকেট ১২৯ বলের ইনিংসে ১৬ চারে করে যান ১১৪ রান। একই ওভারের শেষ বলে সাজিদের চতুর্থ শিকার হ্যারি ব্রুক। সিরিজের প্রথম টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান ৯ রান করে হন বোল্ড।
ইংল্যান্ডের উইকেট-মিছিল এখানেই শেষ হয়নি। পরের ওভারে নোমানের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন দুই মাস পর মাঠে ফেরা বেন স্টোকস। ২ উইকেটে ২১১ থেকে ইংল্যান্ডের স্কোর পরিণত হয় ৬ উইকেটে ২২৫-এ। এরপর জেমি স্মিথ ও ব্রাইডন কার্সকে দিনের শেষ আট ওভার কাটালে ২৩৯ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৯৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান ৩৩.৩ ওভার ব্যাট করে ৭১ রান যোগ করে।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১২৩.৩ ওভারে ৩৬৬ (কামরান ১১৮, সাইম ৭৭, রিজওয়ান ৪১, আমের ৩৭, নোমান ৩২; লিচ ৪/১১৪, কার্স ৩/৫০, পটস ৬/৬৬)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৩ ওভারে ২৩৯/৬ (ডাকেট ১১৪, রুট ৩৪, পোপ ২৯; সাজিদ ৪/৮৬, নোমান ২/৭৫)।