মাশরাফি বিন মুর্তজা ও নাজমুল হোসেন—দুজনই খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সে
মাশরাফি বিন মুর্তজা ও নাজমুল হোসেন—দুজনই খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সে

মাশরাফির জায়গায় সিলেটের নেতৃত্বে নাজমুলকে দেখতে চেয়েছিলেন মাহমুদ

২০২৩ বছরটাকে নাজমুল হোসেনের বছর বললে ভুল হবে না। বিপিএলের টুর্নামেন্ট–সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে শুরু করেছিলেন বছরটা। এরপর ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন তিন সংস্করণের ক্রিকেটে। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ২০২৩ সালে নাজমুলের রান ১৬৫০। বছর শেষে এসে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ঝলকানিতে উজ্জ্বল নাজমুলের কাঁধেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব বর্তায়।

নাজমুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জেতার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র করেছে। দলের এমন পারফরম্যান্সের পর নাজমুলকেই দীর্ঘ মেয়াদে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিবি। কিন্তু বছর ঘুরে যখন বিপিএল এল, তখন নাজমুলকে তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্ট্রাইকার্সের নেতৃত্বে দেখা গেল না। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে অধিনায়ক ও মোহাম্মদ মিঠুনকে সহ-অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিল সিলেট।

বিষয়টি দুর্দান্ত ঢাকার প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদকে অবাক করেছে। বিপিএলেও যে নাজমুলকেই অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন, সেটিও বলে দিলেন, ‘আমিও একটু অবাক হয়েছি। অবশ্যই মাশরাফি আমাদের অন্যতম সেরা নেতা। তবে সিলেট দলে আমি আশা করেছিলাম, শান্ত যেহেতু জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক, সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফর করে এল, সেখানে শান্তর অধিনায়কত্ব করাই মনে হয় ভালো হতো। আমি যদি হতাম, তাহলে সেটাই চিন্তা করতাম।’

এবারের বিপিএলে পাঁচ ম্যাচ খেলে বিরতিতে গেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা

মাশরাফি সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবেই খেলতে পারতেন বলে মনে করেন মাহমুদ, ‘আমি জানি না কারণটা কী, কেন মাশরাফিকে নেতৃত্ব দিতে হলো। মাশরাফি খেলতেই পারত। মাশরাফি লিডার হিসেবে খেলতে পারবে না, এমন তো কোনো কথা নেই। কিন্তু শান্ত বর্তমান জাতীয় দলের অধিনায়ক, আমি হলে কারেন্ট ক্যাপ্টেনকেই চিন্তা করতাম।’

সিলেট এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে একটিতেও জেতেনি। নাজমুলের ব্যাটেও রান নেই। ৫ ইনিংসে তাঁর রান ৩৫, ১৪, ৫, ৫ ও ৯। গত বিপিএলের ৫১৬ রান করা নাজমুলের সঙ্গে এবারের নাজমুলকে যেন মেলানোই যায় না। রান–খরায় আছেন জাতীয় দলের আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান লিটন দাসও। ৪ ইনিংসে তাঁর রান ১৩, ১৪, ৮ ও ০।

তবে দুজনের রান-খরা নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন না মাহমুদ, ‘আমি মনে করি, ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। যাদের কথা বললেন, সবাই ভালো প্লেয়ার। সবাই ক্লাস প্লেয়ার। হ্যাঁ, রানে ফেরাটা খুব জরুরি। আমি আশা করি লিটন, শান্ত, সৌম্য—সবাই ভালো করবে। বাড়তি কোনো চাপ না দিয়ে তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেললেই হবে। তারা যথেষ্ট সামর্থ্যবান খেলোয়াড়।’