২০২০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭ বছর বয়সে হ্যাটট্রিক করেছিলেন নাসিম
২০২০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭ বছর বয়সে হ্যাটট্রিক করেছিলেন নাসিম

বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেরার পরীক্ষায় জ্বলে উঠতে প্রস্তুত নাসিম

১৩ মাস পর টেস্ট খেলবেন পাকিস্তান পেসার নাসিম শাহ। গত বছর জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন নাসিম। এরপর চোটের কারণেই মূলত সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাঁকে।

এত দিন টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও টেস্ট দলে এখনো অন্যতম সেরা বোলার এই নাসিমই। এই বোলিং আক্রমণের অনেকটা মেরুদণ্ড তিনি। নাসিমও প্রত্যাশার এই চাপকে দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে এমন নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার।

২০১৯ সালের নভেম্বরে টেস্টে অভিষেক হওয়া নাসিম এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলেছেন ১৭টি, উইকেট নিয়েছেন ৫১টি। খুব বেশি না হলেও প্রথম টেস্টের পাকিস্তান দলে থাকা পেসারদের মধ্যে একমাত্র শাহিন শাহ আফ্রিদিই তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন (২৯)।

দলের সঙ্গে অনুশীলনে নাসিম

২০২০ সালে এই বাংলাদেশের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতেই মাত্র ১৭ বছর বয়সে হ্যাটট্রিক করেছিলেন নাসিম। পাকিস্তানি সমর্থকেরা এবারও রাওয়ালপিন্ডিতে হয়তো এমন কিছুই প্রত্যাশা করছেন। তিনি কত মাস পর ফিরছেন, সেটা নিশ্চয় তাঁরা বিবেচনায় রাখবেন না! নাসিমও ইতিবাচকভাবেই বিষয়টি দেখছেন, ‘এটা ইতিবাচক একটা চাপ। অতীতে মাঠে আমি যে কঠোর পরিশ্রম করেছি, তা দেখে মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেরাটা দেওয়ার জন্য আমি দায়িত্ব নিতে উপভোগ করি।’

টেস্টে মাঠে ফেরার আগে বাংলাদেশ এ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন নাসিম। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে নাসিম মাত্র বোলিং করেছেন ১৫.৩ ওভার। এরপরও এই প্রস্তুতি ম্যাচটাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন নাসিম, ‘ম্যাচটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, ম্যাচ অনুশীলন আসলে প্রয়োজন। ম্যাচে বোলিং করা, মাঠে থাকা নেটে অনুশীলন করার চেয়ে ভিন্ন। তাই ছন্দ খুঁজে পেতে প্রথম দিনটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

২১ বছর বয়সেই দলের অন্যতম সেরা বোলার নাসিম

টেস্ট ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেছেন নাসিম। তিনি বলেছেন, ‘এটাকে টেস্ট বলা হয়, কারণ এটা শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে আপনার পরীক্ষা নেয়। উইকেট না পেলে আপনি হতাশ হয়ে যান, মাঠে যথেষ্ট সময় থাকতে হয়। প্রস্তুতিটা সরলভাবেই নিয়েছি—বোলিং করা বাড়িয়েছে, মাঠে বেশি সময় থাকা। ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মাঠে থাকো। শৃঙ্খলা বজায় রাখো, বল হাতে ধারাবাহিক হও। আসল পরীক্ষাটা হলো একইভাবে একটা জায়গায় বোলিং করে যাওয়া।’

টেস্ট ক্রিকেটে বোলিং কৌশল নিয়েও কথা বলেছেন নাসিম। ২১ বছর বয়সী এই পেসার দলের চাওয়া অনুযায়ীই বোলিং করবেন, ‘পেসার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে আপনার কাছে দুটি বিকল্প থাকে। হয় দলের পরিকল্পনামতো বোলিং করবেন, নইলে নিজের পরিকল্পনামতো। নিজের মতো বোলিং করলে উইকেট পেতে পারেন, সঙ্গে খরুচেও হবেন। আমি আসলে আগেরটা অনুসরণ করি। আমি নিজেকে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করার জন্য বলি, কন্ডিশন দেখে বোলিং করি, তাই এতে দলেরই সুবিধা। মাঝেমধ্যে আপনাকে নিজের শক্তির জায়গা থেকে সরে এসে দলের ভালোর জন্য বোলিং করতে হবে। আমি এটা করতে পেরে খুশি।’