৯২ রান করেছেন মোহামেডানে খেলা রনি তালুকদার
৯২ রান করেছেন মোহামেডানে খেলা রনি তালুকদার

রনি–মাহিদুলে মোহামেডানের জয়, ব্রাদার্সের নায়ক মাহমুদুল

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে প্রথম হার উপহার দিয়েছে মোহামেডান। গাজী টায়ার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ব্রাদার্স। আজ জিতেছে শাইনপুকুরও।

রনি-মাহিদুলে মোহামেডানের লিজেন্ডস শিকার

সাত দিন আগে ৯৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেও মোহামেডানকে জেতাতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম। ফতুল্লায় সেদিন শেষ ওভারের নাটকে গাজী গ্রুপের কাছে ৩ রানে হেরেছিল মোহামেডান। সেই মাহিদুল আজ পেয়ে গেলেন টানা তৃতীয় ফিফটি। আগের ম্যাচে পারটেক্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রাখা উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান আজ ফতুল্লায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে করেছেন ৫৯ রান। লিজেন্ডসকে এবারের লিগে প্রথম হার উপহার দিয়ে মোহামেডান জিতেছে চতুর্থ ম্যাচ। দুই দলই খেলেছে পাঁচটি করে ম্যাচ।

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে লিজেন্ডসকে ১৭৮ রানে অলআউট করে দেয় মোহামেডান। দলটির দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও আসিফ হাসান নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। লিজেন্ডসের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন শামীম হোসেন। ক্রিকেট মাঠে ফিরেই আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া মাশরাফি আজ ব্যাট হাতে করেছেন ২১ রান। তবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বল হাতে ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।

রান তাড়ায় ১৭৯ রানের লক্ষ্যটা ৪১.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলে মোহামেডান। দলটি ওপেনার রনি তালুকদার ৯২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান রনির ১১৪ বলের ইনিংসে চার ৭টি, ছক্কা ৪টি। মাহিদুল ৭৮ বলে ৫৯ রান করার পথে মেরেছেন ৩টি করে চার-ছক্কা। ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ১৩৫ রানের জুটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৭.১ ওভারে ১৭৮ (শামীম ৫৯, আমিনুল ২৬, রিজওয়ান ২৫; নাসুম ৩/৩০, আসিফ ৩/৩০, কামরুল ২/৩২)।
মোহামেডান: ৪১.৪ ওভারে ১৭৯/৪ (রনি ৯২*, মাহিদুল ৫৯; হালিম ২/২৫)।
ফল: মোহামেডান ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রনি তালুকদার।

হাসান মুরাদের ৪ উইকেট, শাইনপুকুরের জয়

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। এরপর তিন স্পিনার হাসান মুরাদ, জাওয়াদ রোয়েন ও মেহেরব হাসানের দারুণ বোলিংয়ে পারটেক্স স্পোর্টিংকে ১২৯ রানে অলআউট করে ১২৮ রানে জিতেছে শাইনপুকুর। পাঁচ ম্যাচে শাইনপুকুরের এটি তৃতীয় জয়, সমান ম্যাচে পারটেক্সের এটি চতুর্থ হার।

৪ উইকেট পেয়েছেন শাইনপুকুরের হাসান মুরাদ

শাইনপুকুরের ইনিংসে ওপেনার খালিদ হাসান করেছেন সর্বোচ্চ ৮৪ রান। জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান করেছেন ৪ রান। ২৯ রানে প্রথম ৩ উইকেট খোয়ানো দলটির হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান ইরফান শুক্কুরের। ৪৮ বলেই এই রান করেছেন অপরাজিত থাকা ইরফান।

পারটেক্সের ইনিংসে ওপেনার জাহিদুজ্জামান খানের ৫৩ ছাড়া বলার মতো স্কোর নেই আর কারও। শাইনপুকুরের বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ ৮ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অফ স্পিনার জাওয়াদ ৩ উইকেট নিয়েছে ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে। মেহেরব অফ স্পিনে ৫ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শাইনপুকুর: ৫০ ওভারে ২৫৭/৯ (খালিদ ৮৫, ইরফান ৬৬*; আসাদুজ্জামান ২/৪২, মুক্তার ২/৪৪, আজমির ২/৪৫)।
পারটেক্স: ৪০ ওভারে ১২৯ (জাহিদুজ্জামান ৫৩, মুরাদ ৪/২১, জাওয়াদ ৩/৩১, মেহেরব ২/১৪)।
ফল: শাইনপুকুর ১২৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: খালিদ হাসান।

মাহমুদুলের ফিফটিতে ব্রাদার্সের প্রথম জয়

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল প্রথম চার ম্যাচে জয়হীন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি। অবনমন অঞ্চলে থাকা সেই দুই দলের লড়াইটা জমেছিল বেশ। গাজী টায়ার্সের ২২৫ রান ৪ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ব্রাদার্স।

মাহমুদুল হাসান: ৫৩ বলে ৫৬ রান

রান তাড়ায় ১৮৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে ব্রাদার্স। এরপর সালাউদ্দিন শাকিলকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহমুদুল হাসান। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক ৫৩ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। সালাউদ্দিন অপরাজিত ছিলেন ১০ বলে ১৪ রানে। শেষ ৩ ওভারে ২৭ রান দরকার ছিল ব্রাদার্সের। ৪৮তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে সমীকরণটাকে ১২ বলে ১৭ রানে নামিয়ে আনেন মাহমুদুল। পেসার তৌফিক আহমেদের করা ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে সালাউদ্দিন লং অন দিয়ে ছক্কা মারার পর ওভারের তৃতীয় বলে মাহমুদুল আরেকটি ছক্কা মেরে ম্যাচটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে নেন।

এর আগে গাজী টায়ার্সের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন আশরাফুল আলম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

গাজী টায়ার্স: ৫০ ওভারে ২২৫/৯ (আশরাফুল ৬৯, সাজ্জাদ ৪৭, ইফতিখার ২৯; রহমতউল্লাহ ৩/৩৯)।
ব্রাদার্স: ৪৯.২ ওভারে ২২৯/৮ (মাহমুদুল ৫৬*, ইমতিয়াজ ৩৯, রাহাতুল ৩২; শামীম ৩/৩২, মারুফ ২/৪৩)।
ফল: ব্রাদার্স ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহমুদুল হাসান।