বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ‘এ’ দলের দুটি চার দিনের ম্যাচই ড্র হয়েছিল। তবে ইসলামাবাদে আজ পাকিস্তান শাহিনস নামে পরিচিত পাকিস্তান ‘এ’ দলের কাছে প্রথম এক দিনের ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ ‘এ’। ইসলামাবাদ ক্লাব ক্রিকেট ওভালে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৩৬ ওভারে অলআউট ১৮৩ রানে। পাকিস্তান শাহিনস ১৮৪ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ২৭.৫ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখেই।
শাহিনসের জয়ের নায়ক আব্বাস আফ্রিদি। পাকিস্তানের হয়ে ১০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা এই ডানহাতি পেসার ৫ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস। ৩০ রানের মধ্যে বাংলাদেশের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (৬) ও সৌম্য সরকারকে (৯) ফিরিয়ে দেন আব্বাস।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংসে সবচেয়ে বড় জুটিটা গড়ে ওঠে এরপরই। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়েন সাইফ হাসান। ইনিংস–সর্বোচ্চ ৫৮ রান করে সাইফ আব্বাসের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন। ৪৭ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান।
৮৪ থেকে ১১৬—৩২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খোয়ানোর পর ‘এ’ দলের ইনিংসটাকে টেনেছেন রিশাদ হোসেন। ৩৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেছেন নয়ে নামা এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। শেষ দুই ব্যাটসম্যান রেজাউর রহমান (১০) ও রুয়েল মিয়া (১২*) ভালোই সঙ্গ দেন তাঁকে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং-ক্রমের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ফেরানো আব্বাস পরে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান ও তানজিম হাসানকেও। ম্যাচসেরা পুরস্কার জেতা আব্বাস ৫ উইকেট নিতে ৯ ওভারে খরচ করেন ৩৮ রান।
রান তাড়ায় শাহিনস ১৩ রানে হারায় প্রথম উইকেট। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন আবদুল ফাসিহ (১)। আরেক ওপেনার হাসিবউল্লাহ এরপর উসমান খানকে নিয়ে ১২৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে ফেলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে।
৬০ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৭ রান করা উসমান খানকে যখন মোসাদ্দেক হোসেন এলবিডব্লু করলেন, শাহিনসের দরকার ৪২ রান। ওমাইর বিন ইউসুফকে (১৪*) নিয়ে সেই কাজটা সম্পন্ন করেন হাসিবউল্লাহ (৮১ বলে অপরাজিত ৭৩)। ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন হাসিব।
একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বুধবার।
বাংলাদেশ ‘এ’: ৩৬ ওভারে ১৮৩ (সাইফ ৫৮, রিশাদ ৪০; আব্বাস ৫/৩৮, মেহরান ২/২৯, জাহানদাদ ২/৫১)।
পাকিস্তান শাহিনস: ২৭.৫ ওভারে ১৮৪ (উসমান ৮৭, হাসিবউল্লাহ ৭৩*; মোসাদ্দেক ১/১৫, মেহেদী ১/১৯)।
ফল: পাকিস্তান শাহিনস ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আব্বাস আফ্রিদি।