‘সব মারিস কেন? উইকেট স্লো আছে। ওইটা মাথায় রেখে ব্যাটিং কর!’
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাশাপাশি দুটি নেটে ব্যাট করছিলেন লিটন দাস ও তৌহিদ হৃদয়। হৃদয়ের নেটে বোলিং করছিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন, আমিনুল ইসলামরা, সঙ্গে হাত ঘোরাচ্ছিলেন আফিফ হোসেনও। লিটন অবশ্য শুধু থ্রো-ডাউনে নক করছিলেন। হৃদয়কে বড় শট খেলতে দেখে এ কথা বলেন লিটন।
লিটনের কথাতেই ইঙ্গিত আছে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কেমন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে যে উইকেটে হয়েছে, প্রথম টি-টোয়েন্টিও হতে যাচ্ছে সেটিতেই। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও ওয়ানডের ধাঁচের ক্রিকেটই আশা করছেন এমন উইকেটে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কেমন উইকেট আশা করছেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে হাথুরুসিংহে আজ সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘দুই দিন আগে ওয়ানডেতে যা দেখেছি। আমার মনে হয় একই উইকেটেই খেলছি। ফলে দুই দিনে বদলানো যাবে না। একই হবে।’
চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত ব্যাটিং–সহায়ক হলেও সিরিজের শেষ ম্যাচের উইকেট একটু ভিন্ন ধরনেরই ছিল। মন্থর গতির উইকেটে নিচু হচ্ছিল বাউন্স, ব্যাটিং সহজ ছিল না সেভাবে। রাতে শিশিরের কারণে হয়তো ব্যাটিং একটু সহজ হয়ে আসতে পারত, তবে দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে আগেই। তার ওপর ইংল্যান্ডও অলআউট হয়ে গেছে ৫০ ওভার ব্যাটিং করার আগেই। আগামীকাল প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বেলা ৩টায়, ফলে শিশিরের প্রভাব সেভাবে থাকার কথা নয় এখানেও।
হাথুরুসিংহে জানেন, টি-টোয়েন্টিতে সবাই রান দেখতে চান, ‘আমরা তো সবাই রান পছন্দ করি, নয় কি? এটাই তো বিনোদন। বিনোদন দিতে আমাদের কিছু রান করতে হবে। এ কারণেই লোকে ক্রিকেট দেখতে আসে। আমরা যদি রান না করি, বোলাররা ভালো করে, তাহলে সেটি আলাদা ব্যাপার। তবে আমি জানি, লোকে রান করা দেখতে পছন্দ করে। যাতে ম্যাচ ২০তম ওভার পর্যন্ত যায়। এতে টেলিভিশন দর্শকেরাও আকৃষ্ট হয়। স্পনসররাও সেটিই পছন্দ করে, আমরাও তাই সেটিই করতে চাই।’
তবে ব্যবহৃত উইকেটে খেলা বলে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও তেমন বড় স্কোর না-ই দেখা যেতে পারে চট্টগ্রামে। এমনিতে ২০১৯ সালের পর থেকে চট্টগ্রামে কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হয়নি। সর্বশেষ বিপিএলে অবশ্য রানের দেখা মিলেছে ঠিকই। ১২ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বিপিএলে এখানে গড় স্কোর ছিল ১৬২ রান।
সকালে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের পর ইংল্যান্ড অনুশীলনে আসে দুপুরে। দল মাঠে ঢোকার পরপরই উইকেটের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় সফরকারী দলের বিশ্লেষক ফ্রেডি ওয়াইল্ডকে। কিউরেটর প্রভিন হিঙ্গানিকারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য কেমন উইকেট অপেক্ষা করছে, হয়তো তিনি সে বার্তাই পৌঁছে দিয়েছেন জস বাটলারের দলের কাছে।