ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স এখন থেকে কাজ করবেন বিসিবির ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে
ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স এখন থেকে কাজ করবেন বিসিবির ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে

জাতীয় দলে সিডন্সের বদলি খুঁজছে বিসিবি

ভারত সিরিজ সামনে রেখে এর মধ্যেই বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের সদস্যরা ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। দুই দিন হলো তামিম-মুশফিকদের নিয়ে অনুশীলনও শুরু হয়েছে মিরপুরে। কিন্তু রাসেল ডমিঙ্গো, অ্যালান ডোনাল্ডদের সে দলে জেমি সিডন্সকে দেখা যাচ্ছে না। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে কক্সবাজারে। সেখানে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি চার দিনের ম্যাচের সিরিজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন মুমিনুল-তাইজুলরা।

নতুন করে বিসিবির চাকরি নেওয়ার শুরু থেকেই সিডন্সের আগ্রহ তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করার। তাঁর বিশ্বাস, তরুণদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আবারও উপহার দিতে পারবেন ভালো কিছু ব্যাটসম্যান। বিসিবিও এখন সেভাবেই ভাবছে।

সে জন্যই এই অস্ট্রেলীয় কোচকে এখন থেকে ‘এ’ দল, হাইপারফরম্যান্স বিভাগ ও বাংলাদেশ টাইগার্সে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সে ক্ষেত্রে সিডন্সের জায়গায় জাতীয় দলে নতুন একজন ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিএলের ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টের পুরস্কার দিতে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছি জেমি সিডন্সকে এইচপি, ‘এ’ দল ও টাইগার্সে নিয়ে আসব। তখন জাতীয় দলের জন্য একজন ব্যাটিং খুঁজতে হবে। তার মানে এই নয় যে আমরা ভারত আসার আগেই একজন ব্যাটিং কোচ নিয়ে আসব। কোচ পাওয়া এত সহজ নয়।’

বিসিবির কোচিং স্টাফে অদলবদল পর্বের শুরু গত এশিয়া কাপ থেকে। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডমিঙ্গোকে রাখা হয় শুধু ওয়ানডে ও টেস্ট দলের প্রধান কোচ হিসেবে।

ইংল্যান্ডও কদিন আগে কোচিং স্টাফ আলাদা করেছে। কিন্তু সেটা সাদা ও লাল বলে। বাংলাদেশ শুধু টি-টোয়েন্টিকে আলাদা করেছে। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ইংল্যান্ডের পথে হাঁটার আভাস দিয়েছেন নাজমুল হাসান, ‘যেহেতু ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থানে আছে, তাই সেটা ভাঙার চিন্তা করিনি। যদি কখনো মনে হয় করা প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই আমরা করব।’

টি-টোয়েন্টির কোচিং স্টাফ আলাদা করার পেছনে বোর্ডপ্রধানের যুক্তি, ‘তিনটা সংস্করণ যদি দেখি, তাহলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল টি-টোয়েন্টিতে। এই সংস্করণে খুবই খারাপ করছিলাম। একেবারে নিচের দিকেই যাচ্ছিলাম। সে জন্য আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিই, এই সংস্করণে কীভাবে আমূল পরিবর্তন আনা যায়। সে জন্য আমরা বড় পরিবর্তন এনেছি। শুধু কোচিংয়ে না, খেলোয়াড়ও পরিবর্তন করেছি।’