হতাশ বাবর আজম
হতাশ বাবর আজম

‘পাকিস্তানের বোলিং ভালো হলে ব্যাটিং খারাপ হয়, ব্যাটিংটা ভালো হলে ফিল্ডিং হয় যাচ্ছেতাই’

টানা তিন ম্যাচে হার। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পর কাল আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হেরেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মঞ্চেই পাকিস্তানকে প্রথম ওয়ানডেতে হারাল আফগানিস্তান। অষ্টম মোকাবিলায় এই প্রথম। হারটা শেল হয়ে বিঁধছে পাকিস্তানের বুকে। সমালোচনা চারদিকে। সমালোচনাটা শুরু হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে হার দিয়েই। আফগানদের বিপক্ষে হারের পর সেই সমালোচনাটাই যেন চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরেছে পাকিস্তান দলকে। বাবর আজমের অধিনায়কত্বও প্রশ্নের মুখে। কাল আফগানদের বিপক্ষে হারের ধরনটাও বড় একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে পাকিস্তান দলকে নিয়ে।

পাকিস্তানের বোলিং কাল হয়েছে যাচ্ছেতাই

বাবর নিজেই সতীর্থদের পারফরম্যান্স নিয়ে বিরক্ত। সেটিই কাল ম্যাচ শেষে বলেছেন তিনি। পাকিস্তান অধিনায়ক বিশ্বকাপে সর্বশেষ তিন ম্যাচে পাকিস্তানের বাজে পারফরম্যান্সের একটা বড় কারণও খুঁজে পেয়েছেন, ‘আমরা একসঙ্গে সব বিভাগে ভালো করতে পারছি না। যখন বোলিং ভালো হয়, তখন ব্যাটিং খারাপ হয়, ব্যাটিং ভালো হলে ফিল্ডিং হয় যাচ্ছেতাই।’

সব বিভাগে এক সঙ্গে ভালো করতে পারছে না পাকিস্তান

কাল জয়ের জন্য যথেষ্ট রসদই ছিল পাকিস্তানের হাতে। প্রথমে ব্যাটিং করে ২৮২ রান উঠেছিল স্কোরবোর্ডে। অনেকেই বলছিলেন, পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের জন্য ২৮২ রান যথেষ্টই। কিন্তু সেই আফগানিস্তানই ২৮২ রান তাড়া করল অনায়াসেই। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান ওপেনিংয়ে ১৩০ রান তুলেই দলকে এগিয়ে দেন অনেকটা। এরপর দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শহীদি। এ দুজনের ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিই আফগানদের এনে দেয় ঐতিহাসিক জয়। এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ২৭৫ রানের বেশি স্কোরবোর্ডে তুলে ম্যাচ হারল পাকিস্তান।

এ জন্য বাবর কাঠগড়ায় তুলেছেন বোলিং আর ফিল্ডিংকেই, ‘এই হার অবশ্যই দুঃখজনক। আমরা ২৮০–২৯০ রানের আশপাশেই করতে চেয়েছিলাম। লক্ষ্যটা পূরণ হওয়ার পর বোলিংটা হয়েছে খুবই বাজে। ফিল্ডিংও একই রকম বাজে। স্পিনাররা মধ্যবর্তী ওভারগুলোতে খুবই বাজে বোলিং করেছে।’