তাহলে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আবারও ইংল্যান্ডের জার্সিতে ফিরছেন ফাস্ট বোলার জফরা আর্চার? ইংল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কি সেটাই নিশ্চিত করলেন। কনুই ও আঙুলে পাওয়া চোটে প্রায় দুই বছর ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন আর্চার। এ সময়ে মিস করেন দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তিন দফা শল্যবিদের ছুরির নিচেও যেতে হয়েছে তারকা ইংলিশ পেসারকে।
পুরোপুরি সেরে ওঠার পর গত বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ২০ দিয়ে মাঠে ফেরেন আর্চার। মার্চে বাংলাদেশ সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৫ ম্যাচ খেলে ভারতে যান আইপিএলে অংশ নিতে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে কয়েকটি ম্যাচেও খেলেছিলেন। তবে আবার কনুইয়ের চোটে পড়ায় ছিটকে যান মাঠের বাইরে। দলের সঙ্গে রিজার্ভ হিসেবে থাকলেও খেলা হয়নি ভারতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। সেই আর্চার এখন জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ফিরতে যাচ্ছেন।
ইংল্যান্ডকে ২০১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা রাখা আর্চার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে স্কাই স্পোর্টসে কি বলেছেন, ‘অবশ্যই। সাসেক্সের প্রাক্–মৌসুম খেলতে জফরা ভারতে গিয়েছিল। সেখানে দ্রুতগতিতে, দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ও এখন ক্যারিবিয়ায় ফিরে গেছে, টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য সেখানে ও ক্লাব ক্রিকেট খেলবে। আশা করছি ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের সিরিজে খেলবে (মে মাসে), জফরার জন্য শুভকামনা।’
তবে চলতি বছরে আর্চার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরছেন না, নিশ্চিত করেছেন কি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে একটু ধীরগতিতে এগোতে চাচ্ছি, যেন ওকে আমরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নয়, লম্বা সময়ের জন্য পাই। পরিকল্পনা হচ্ছে, জফরা এই গ্রীষ্মে সাদা বলের ক্রিকেট খেলবে। আশা করছি, পরবর্তী গ্রীষ্মে যখন আমরা ভারত ও এরপর বছরের শেষ দিকে অ্যাশেজে খেলব, তখন ও টেস্ট ক্রিকেটে ফিরবে। সব সংস্করণে ওকে ফেরাতে হলে ধীরগতির প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে।’
২০১৯ বিশ্বকাপে আর্চার ছিলেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ১১ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ২০টি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে সুপার ওভারেও বোলিং করেছিলেন আর্চার। এরপর সে বছরই অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের কাঁপিয়ে দেন আর্চার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ টেস্ট খেলেই নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। তবে আর্চারের পরের গল্পটা শুধুই চোটের।
ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ টেস্ট, ২১ ওয়ানডে ও ১৫টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে জন্ম নেওয়া এই ইংলিশ ফাস্ট বোলার। টেস্ট ও ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট ৪২টি করে, টি–টোয়েন্টিতে ১৮টি।