শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসে ৭টি ছক্কা মারেন রিশাদ হোসেন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসে ৭টি ছক্কা মারেন রিশাদ হোসেন

ছক্কা মারতে বোলার দেখি না, বল দেখি: রিশাদ হোসেন

ক্যারিয়ারটা এখনো বেশ ছোটই রিশাদ হোসেনের, এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপ। রিশাদকে ঘিরে বাংলাদেশের রোমাঞ্চের কারণ—তিনি লেগ স্পিনার। বাংলাদেশে যা একরকম দুর্লভ প্রজাতিই। এর আগে কখনো বিশ্বকাপে স্বীকৃত বা বিশেষজ্ঞ কোনো লেগ স্পিনার খেলেননি বাংলাদেশের হয়ে।

রিশাদ এরই মধ্যে তাঁর আরেকটি সামর্থ্যও দেখিয়েছেন—বড় শট খেলা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত মার্চে ৭ ছক্কায় খেলেছিলেন ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড সেটিই। এবার সেই রিশাদ জানালেন ছক্কা মারার ক্ষেত্রে তাঁর মনোভাবের কথা।

বিশ্বকাপ উপলক্ষে দলে থাকা খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নিয়ে ধারাবাহিক ভিডিও প্রকাশ করছে বিসিবি। এমন একটি ভিডিওতে রিশাদ ছক্কা মারার ক্ষেত্রে তাঁর মনোভাব প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সব ব্যাটসম্যানই চায় বড় শট খেলতে। আমিও সেটিই চাই। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছক্কা মারার ক্ষেত্রে। আমি চেষ্টা করি। বোলার বা অন্য কিছু দেখি না, বল দেখি শুধু।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের ভরসা হয়ে উঠছেন রিশাদ

স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রতি দলের চাওয়াটা মূলত বোলিংকে ঘিরে। এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠার ইঙ্গিতও দিয়েছেন এ লেগ স্পিনার। তবে তিনি চান সব বিভাগেই অবদান রাখতে, ‘দলে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং; তিন দিক থেকেই কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব। ক্রিকেট শুরু করেছি লেগ স্পিনার হিসেবে, কিন্তু জানতাম দেশকে কিছু দিতে হলে তিন বিভাগেই দিতে হবে। তিন দিক থেকে দিতে গেলে আমাকে ব্যাটিংয়ের দিক থেকেও একটু খাটতে হবে। চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে।’

তাঁর মূল যে কাজ, সেই বোলিংয়ে রিশাদ পাশে পাচ্ছেন মুশতাক আহমেদকে। পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী এ লেগ স্পিনার এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ। তাঁর সঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয়ের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে বেশি কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন রিশাদ, ‘উনি বিশ্বমঞ্চে কীভাবে দাপট দেখিয়েছেন, সেসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিলেন। আমি জানতে চাচ্ছিলাম, এমন বড় মঞ্চে কীভাবে পারফর্ম করা যায়, ‘কাম অ্যান্ড কুল (নির্ভার)’ থাকা যায়। উনি বলেছেন, বিশ্বমঞ্চে যত ঠান্ডা থাকা যায়, তত ভালো পারফর্ম করা যায়। চেষ্টা করব এগুলো করে দেখাতে।’

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার আশা তাঁর, ‘এটা তো সবার ক্ষেত্রেই সারা জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। সবার স্বপ্ন থাকে, আমারও আছে। বিশ্বকাপে খেলা আমার জন্য অনেক গর্বের। চেষ্টা করব, নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দেওয়ার।’

বিশ্বকাপ ঘিরে নিজের স্বপ্নের কথাও জানিয়েছেন রংপুরের তরুণ, ‘নামের পাশে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট দেখতে চাই। অলরাউন্ডার হিসেবে অনেক ধাপ ওপরে দেখতে চাই।’