বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে অদলবদলের খবরটি এতক্ষণে সবারই জানা। বিসিবি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে শ্রীধরন শ্রীরামকে নিয়োগ দিয়েছে। ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের আগ্রহ অপেক্ষাকৃত তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করা। তাহলে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কাজটা কী?
আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে তাঁর গুলশানের বাসভবনে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা এখনো ঠিক করিনি। ২২ তারিখ সবার সঙ্গে বসা হবে। বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অনেক পরিবর্তনই আসবে। একটা-দুটি জিনিস নয়। আমরা রাসেল ডমিঙ্গোকে রেখেই পরিবর্তন করব নাকি না রেখে করব, এসব কিছু আমরা ২২ তারিখ সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের সবার সঙ্গে বসব। তাদের কথা শুনব।’
তবে ডমিঙ্গোকে শুধু ওয়ানডে ও টেস্ট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে রাখতে চায় বিসিবি। অতিরিক্ত ক্রিকেটের কথা ভেবেই নাকি বোর্ডের এ চিন্তা। নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত চিন্তাধারা হচ্ছে, ডমিঙ্গোর ওয়ানডে ও টেস্টে মনোযোগী হতে হবে। আমরা সবকিছু একটু আলাদা করতে চাচ্ছি। যে পরিমাণ খেলা, ডমিঙ্গোর পক্ষে এত কিছুতে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি, অনেক সিরিজে সে যেতেই পারবে না। তাঁর ছুটির একটা নির্দিষ্ট সময় আছে তো। বুঝতে হবে। এটা এত সহজ নয়।’
কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোর মানসিকতা টি-টোয়েন্টির সঙ্গে কতটা মানানসই, সেটা নিয়েও আছে বোর্ডের প্রশ্ন। নাজমুল হাসান যোগ করেন, ‘মানসিকতার একটা ব্যাপার আছে। টেস্ট ও ওয়ানডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টির কোনো মিল নেই। এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আলাদা করার কথা ভাবছি।’
দীর্ঘ মেয়াদে সংস্করণভেদে কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথাও ভেবেছে বিসিবি। তবে সেটা নির্ভর করছে এশিয়া কাপ ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের ওপর, ‘যদি পারি আমরা কোচিং স্টাফও আলাদা করে দেব। আমরা এশিয়া কাপে দেখব, বিশ্বকাপে দেখব। এরপর একটা সিদ্ধান্ত নেব। তারপর শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টিতে রেখে দেব নাকি অন্য কাউকে দেখব, এটা পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে।’