দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরে গেছে পন্তের দিল্লি ক্যাপিটালস
দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরে গেছে পন্তের দিল্লি ক্যাপিটালস

পরাগের শেষ ওভারের ঝড়, পন্ত হেরে গেলেন মাইলফলকের ম্যাচেও

এবারের আইপিএলে দিল্লির প্রথম ম্যাচটি তাঁর জন্য ছিল অন্যরকম আবেগের। ভয়ংকর এক গাড়ি দুর্ঘটনায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যাওয়ার প্রায় দেড় বছর পর আবার এই ম্যাচ দিয়েই আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন ঋষভ পন্ত। সেই ফেরাটা জয়ে রাঙাতে পারেননি দিল্লির অধিনায়ক। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটিও পন্তের জন্য ছিল বিশেষ। আইপিএল ক্যারিয়ারে তাঁর ১০০তম। এ উপলক্ষটাকেও রাঙানো হলো না পন্তের। তাঁর দল রাজস্থানের কাছে হেরে গেছে ১২ রানে।

দিল্লি আজ ম্যাচটি হেরেছে মূলত রাজস্থানের রিয়ান পরাগের দুর্দান্ত এক ইনিংসের কাছে। ৪৫ বলে ৭ চার ও ৬ ছয়ে তাঁর অপরাজিত ৮৪ রানে ভর করেই রাজস্থান ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলতে পারে। এই রান তাড়া করতে নেমে দিল্লি ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৭৩।

রান তাড়ায় দুই অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের ব্যাটে দিল্লির শুরুটা হয়েছিল বেশ ভালো। ৩ ওভারেই ২৯ রান তুলে ফেলে তারা। কিন্তু ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দিল্লির ছন্দপতন ঘটে। ওভারের দ্বিতীয় বলে মার্শকে তুলে নেন নান্ডে বার্গার। এরপর চতুর্থ বলে তিনি ফেরান রিকি ভুইকে।

এরপর ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বাধেন অধিনায়ক পন্ত। তাঁকে নিয়ে ওয়ার্নার ভালোভাবেই এগিয়ে চলছিলেন। কিন্তু ইনিংসের ১২তম ওভারে আবেশ খানের বলে সন্দীপ শর্মার ক্যাচ হয়ে ফেরেন ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৪৯ রান করা ওয়ার্নার। দলের রান ছিল তখন ৯৭। স্কোরবোর্ডে আর ৮ রান যোগ হওয়ার পর ফিরে যান পন্তও। ২ চার ও ১ ছয়ে ২৬ বলে ২৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

চাহাল এরপর ফেরান অভিষেক পোরেলকে। একে তো একের পর এক ব্যাটসম্যান আউট হয়ে ফিরছিলেন, অন্যদিকে বাড়তে থাকে রানের চাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রিসটান স্টাবস ও অক্ষর প্যাটেল সেই চাপ সামলে দলকে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি। স্টাবস ২৩ বলে ৪৪ ও অক্ষর ১৩ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থেকে শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন।

৪৫ বলে অপরাজিত ৮৪ রান করেছেন রিয়ান পরাগ

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজস্থানের শুরুটা হয়েছিল বাজে। ৭.২ ওভারে ৩৬ রানের মধ্যে যশস্বী জয়সোয়াল, সাঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলারকে হারায় তারা। এরপর রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে এগিয়ে চলেন চার নম্বরে নামা পরাগ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৩৭ বলে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। পঞ্চম উইকেটে ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে আরেকটি ফিফটি (২৩ বলে ৫২) রানের জুটি গড়েন তিনি। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে শিমরন হেটমায়ারকে নিয়ে তোলেন ১৫ বলে ৪৩।

পরাগ উইকেটে এসে শুরুতে খেলেছেন সাবধানে। পরে পসরা সাজিয়ে বসেন দুর্দান্ত সব শটের। মুখোমুখি হওয়া শেষ ১৯ বলে ৫৮ রান করেন পরাগ। শেষ ওভারে ৬ বলে ৩টি চার ও ২ ছয়ে করেন ২৫ রান।