লর্ডসে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ডে মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনেও ব্যাটিং করতে নামল তারা। একাদশে দুই স্পিনার, হয়তো সে কারণেই চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিং করানোর লক্ষ্য ছিল প্রোটিয়াদের।
তবে লর্ডসে ইংল্যান্ডের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা যা করেছিল, এবার স্বাগতিকেরা করল সেটিই। জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, বেন স্টোকসের তোপে পড়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম ইনিংসে ১৫১ রানেই গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১১১ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি ১৭ আর জনি বেয়ারস্টো ৩৮ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
দিনের পঞ্চম ওভারেই প্রথম আঘাত করেন ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দেশের মাটিতে শততম টেস্ট খেলতে নামা জেমস অ্যান্ডারসন, ফেরান সরেল এরভইয়ারকে। পরের দুটি আঘাত করেন স্টুয়ার্ট ব্রড—এলগারের পর স্লিপে ক্যাচ দেন কিগান পিটারসেনও।
এলগার অবশ্য এর আগেই একবার শর্ট লেগে ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান এ ম্যাচ দিয়েই দলে ফেরা ওলি রবিনসন নো বল করায়। তবে সুযোগটা ঠিক কাজে লাগাতে পারেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক। মধ্যাহ্নবিরতির আগে এইডেন মার্করাম ও রেসি ফন ডার ডুসেনকে ফেরান বেন স্টোকস। ৭৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিরতির পর টানা ২ বলে সাইমন হারমার ও কেশব মহারাজকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে যান অ্যান্ডারসন। সে সময় ১০০ রানের নিচেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে কাগিসো রাবাদা অ্যান্ডারসনের হ্যাটট্রিক তো হতে দেনইনি, এরপর কাইল ভেরেইনা ও আনরিখ নর্কিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ইংল্যান্ডকে হতাশই করেছেন। অষ্টম ও নবম—এ দুই উইকেট জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৫১ রান।
মাঝে ভেরেইনাকে ফেরান ব্রড। তবে নর্কিয়ার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন থেকেই চা–বিরতিতে যান রাবাদা। বিরতির পর নর্কিয়াকে এলবিডব্লু করে রাবাদার সঙ্গে জুটি ভাঙেন রবিনসন। ইনিংসের ৫৪তম ওভারে অবশেষে জ্যাক লিচের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন রাবাদা, ৭২ বলে ৩৬ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর সেটিই। অ্যান্ডারসন ৩ উইকেট নেন ৩২ রানে, ব্রড খরচ করেন ৩৭ রান।