১৭৮ রানের লক্ষ্য। ৯ ওভার শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ২ উইকেটে ৫৭ রান। লিটন দাস ২৬ বলে ২২ রান করে অপরাজিত। যে ম্যাচটা জিতলে কোয়ালিফায়ার খেলার পথে অনেকটাই এগিয়ে যেত দলটি, সেই ম্যাচে কুমিল্লার এমন ব্যাটিং দেখে অবাক হওয়ারই কথা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে পরের ওভারেই গা–ঝাড়া দিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আরিফুল হকের করা ওই ওভারে এল ২২ রান। ১ ছক্কা, ৩ চার ও ২টি ডাবলে ২২ রানই লিটনের। একঝটকায় ২৬ বলে ২২ থেকে ৩২ বলে ৪৪ হয়ে গেল তাঁর রান। পরের ওভারের শেষ বলে কুমিল্লার ওপেনার পেয়ে যান এবারের বিপিএলের নিজের দ্বিতীয় ফিফটি।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৮৫ রানের ইনিংস খেলেই শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন লিটন। ১৯৬ ম্যাচের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর আগে তাঁর সর্বোচ্চ ছিল ৮৩। গত বছর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই বাংলাদেশের জার্সিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ বলে ৮৩ রান করেছিলেন তিনি।
লিটনের ৫৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংসের পরও অবশ্য জিততে পারেনি কুমিল্লা। ৬ উইকেটে ১৬৫ রান করে হেরেছে ১২ রানে। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে পাওয়া চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করল আগেই লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হওয়া সিলেট।
লিটন ফিরেছেন শেষ ওভারের প্রথম বলে তানজিমের বলে বোল্ড হয়ে। ৬ বলে ২৫ রানের সমীকরণ নিয়ে ওভারটা শুরু করেছিল কুমিল্লা। লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে গিয়েই প্রথম বলে ছক্কা মেরে আশা জাগিয়েছিলেন জাকের আলী। কিন্তু পরের ৪ বলে ১৯ রানের হিসাব মেলাতে পারেনি জাকের-রাসেলরা।
টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া সিলেট ৫ উইকেটে করেছিল ১৭৭ রান। এই রানের ১০৩-ই সিলেট করেছে শেষ ৯ ওভারে। বেনি হাওয়েলের ঝড়ে শেষ ৫ ওভারে সিলেট করে ৬৯ রান। ফ্রান্সের বোর্দোতে জন্ম নেওয়া ইংলিশ অলরাউন্ডার ৩১ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন হাওয়েল।
সিলেটের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান ওপেনার কেনার লুইসের। ২৫ বলে ৩৩ রান করেছেন ক্যারিবীয় ওপেনার। এ ছাড়া বলার মতো রান অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ২০ বলে ২৮।
লিটন ছাড়া কুমিল্লার ইনিংসে উল্লেখযোগ্য আন্দ্রে রাসেলের ১৪ বলে ২৩ রান, ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আউট হয়েছেন তানজিমের করা শেষ ওভারের শেষ বলেই। জাতীয় দলের পেসার ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা বোলার। তবে ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়েছেন তিনি।
১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা আছে দুইয়ে। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পাওয়া সিলেট আছে ছয়ে।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ২০ ওভারে ১৭৭/৫ (লুইস ৩৩, জাকির ১৮, নাজমুল ১২, ইয়াসির ২, মিঠুন ২৮, হাওয়েল ৬২*, আরিফুল ৭*; রাসেল ৪–০–৩৫–০, মঈন ২–০–১৩–০, আলিস ৩–০–৩৮–০, নারাইন ৪–১–১৬–২, মুসফিক ৪–০–৩২–১, রিশাদ ৩–০–৩৭–২)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ২০ ওভারে ১৬৫/৬ (ইমরুল ৩, লিটন ৮৫, হৃদয় ১৭, চার্লস ১২, মঈন ০, রাসেল ২৩, জাকের ৭*; আরিফুল ২–০–৩৬–০, সামিত ৪–০–১৫–১, শফিকুল ৪–০–১৮–১, সানজামুল ৩–০–২৫–০, তানজিম ৩–০–৩৩–৩, হাওয়েল ৪–০–৩৬–১)।
ফল: সিলেট স্ট্রাইকার্স ১২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বেনি হাওয়েল।