আজ ৩৯ রান খেলার পথে তামিম
আজ ৩৯ রান খেলার পথে তামিম

বরিশালকে জিতিয়ে এবার বিপিএল-সেরাও তামিম

আর কী চাই তামিম ইকবালের! বরিশালকে প্রথমবার বিপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন। ব্যাট হাতেও করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান ৪৯২। তাতে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তামিম ১৫ ম্যাচে ১২৭.১৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪৯২।

ফাইনাল ম্যাচেও খেলেছেন ২৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। তিনি পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছেন নিজের চিরায়ত কৌশলেই। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৭১ রানের ইনিংস খেলার পর আরও দুটি ফিফটি পেয়েছেন। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৩ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস।

টুর্নামেন্ট–সেরা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কুমিল্লার তাওহিদ হৃদয়ও। তিনি ব্যাট হাতে করেছেন ১৪ ম্যাচে ৪৬২ রান। সেটাও ১৪৯.৫১ স্ট্রাইক রেটে। চলতি বিপিএলে হৃদয় রান করেছেন নিজেকে ভেঙেচুরে, ‘বাংলাদেশি মান’কে অতিক্রম করে।

ফাইনালে খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস

বিপিএলের ইতিহাসে ১৪০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৪০০-এর বেশি রান করা একমাত্র বাংলাদেশি হৃদয়। এর আগে যাঁরা এই কীর্তি গড়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই বিদেশি। ছক্কা মারাতেও হৃদয় ছাড়িয়ে গেছেন স্থানীয় সবাইকে। এবারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৪টি ছক্কা মেরেছেন। বিপিএলের এক আসরে যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এরপরও সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন তামিম। এর কারণটা ব্যাট হাতে রান করার পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্বও। বরিশালকে শিরোপা জেতাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ওপেনার। ব্যাটসম্যান তামিম তাই বরিশালের হয়ে কাজ করেছেন একজন ‘অলরাউন্ডার’ হিসেবে।

সব মিলিয়ে বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিম এবারই প্রথম টুর্নামেন্ট–সেরা হয়েছেন। গত বছর টুর্নামেন্ট–সেরা হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন। বিপিএলে সবচেয়ে বেশি চারবার টুর্নামেন্ট–সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। এবারের বিপিএলে টুর্নামেন্ট–সেরার দৌড়ে একটা সময় পর্যন্ত ছিলেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ১১ ইনিংসে সাকিব রান করেছিলেন ২৫৫, বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ১৭টি।

বরিশালের শিরোপা জয়ের আনন্দ

বরিশালের মতো এবারই প্রথম বিপিএল শিরোপা জিতেছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ট্রফি এই দুই ক্রিকেটারকে উৎসর্গ করেছেন অধিনায়ক তামিম, ‘আমি এই শিরোপা তাদের (মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ) উদ্দেশে উৎসর্গ করতে চাই। মাঠে মুশি অনেক কাজ করেছে। সেই বোলার পরিবর্তন করেছে, ফিল্ড সাজিয়েছে। এটা মুশিরই ট্রফি। যেহেতু আমি অধিনায়ক, অনেক কৃতিত্ব পাব। এটা এমন একটা টুর্নামেন্ট যেখানে অনেক চাপ থাকে, মুশি আমার ওপর থেকে অনেক চাপ সরিয়ে নিয়েছে, তাতে আমি ব্যাটিংয়ে মনোযোগ করতে পেরেছি। মুশি, মাহমুদউল্লাহ ও অন্যদের সহায়তা ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।’