সাকিব ও মুশফিকের দুজনেই খেলেছেন পাঁচটি করে বিশ্বকাপ
সাকিব ও মুশফিকের দুজনেই খেলেছেন পাঁচটি করে বিশ্বকাপ

সাকিব–মুশফিক–মাহমদুউল্লাহর এটাই শেষ বিশ্বকাপ কি না, জানেন না হাথুরু

মাহমুদউল্লাহর বয়স ৩৭ বছর, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ৩৬ বছর করে। আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে চার বছর পর, ২০২৭ সালে। তখন মাহমুদউল্লাহর বয়স হবে ৪১ বছর, সাকিব ও মুশফিকের ৪০!

সব মিলিয়ে ভারতে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপকেই বাংলাদেশের এই তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের শেষ বিশ্বকাপ মনে করছেন অনেকে। বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কী মনে করেন—এটাই কি এই তিনজনের শেষ বিশ্বকাপ?

হাথুরুসিংহে এই প্রশ্নে যেন ডাক করে গেলেন! বাংলাদেশ কোচ উত্তর দিলেন কৌশলে। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক—তিনজনের বেশ প্রশংসা করে তিনি বললেন, ‘আমি জানি না, তারা তাদের শেষ বিশ্বকাপ খেলছে কি না। আমি তাদের শেষ বিশ্বকাপ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’

মাহমুদউল্লাহ খেলছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ

সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর যে এখনই ক্রিকেটকে বিদায় জানানো উচিত নয়, হাথুরুর কথায় ফুটে উঠেছে সেটাই, ‘সত্যি বলতে কী, তারা এখনো খুব ফিট আছে। তারা পারফর্মও করছে। তবে যার যার সিদ্ধান্ত সে সে নেবে...বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তারা সেরা। তারা যদি অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যাটন পরিবর্তনের মতো ব্যাপার হবে।’

সাকিব ও মুশফিক তাঁদের ক্যারিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলছেন। মাহমুদউল্লাহর এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই এটাকে বিশাল ব্যাপার মনে করেন হাথুরু, ‘একজন ক্রিকেটারের চারটি বিশ্বকাপ খেলাটা দারুণ ব্যাপার। অনন্য একটি ব্যাপার। চারটি বিশ্বকাপ খেলা—একজন তো পাঁচটি খেলছে, তাই না? মুশফিক ও সাকিব পাঁচটি খেলছে। এটা অসাধারণ।’

পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও এখন পর্যন্ত ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি সাকিব–মুশফিকের। মাহমদুউল্লাহও সেই দলেরই পথিক। তাঁরা কি কখনো এ নিয়ে কোনো হতাশার কথা হাথুরুকে বলেছেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ কোচের কথা, ‘না, আসলে আমার সঙ্গে তাদের এমন কোনো কথা হয়নি। কারণ, আমরা শুধু পরের ম্যাচটা নিয়েই ভাবি।’