নাজমুলকে মিস করেছি। পাকিস্তানি ওপেনাররা নতুন বলের বোলারদের যতটুকু সম্মান দেখাল, বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই তার ছিটেফোঁটাও দেখায়নি। টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা আনতে চাইলে এটি জরুরি। তবে স্বীকার করতে হবে, বোলাররা কিছুটা হলেও মান রেখেছে।
দুই উইকেটের পতনের পর মোটামুটি থিতু উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল।
গত ম্যাচে সেঞ্চুরির পর সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মিরাজের এ ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাওয়া দারুণ হতাশাজনক। তবে ওপেনার হিসেবে মিরাজ কতটা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারবে, সেটাও ভেবে দেখা দরকার। কন্ডিশন বিবেচনায় বোলিং যথেষ্ট সন্তোষজনক।
ভালো শুরু করেও ধরে রাখতে পারল না। আরও ধারাবাহিকতা প্রত্যাশিত। বড় ইনিংস খেলার নিজস্ব একটা মেথড বের করা জরুরি।
দুই পা এগোনোর জন্য অনেক সময় এক পা পেছাতে হয়। এই কৌশলগত ব্যাপারটি হৃদয়সহ দলের তরুণ ব্যাটসম্যানদের দ্রুত অনুধাবন করা প্রয়োজন।
চাপের মুখে অত্যন্ত গোছানো ও পরিশ্রমী একটা ইনিংস। অন্তত ৪০ ওভার পর্যন্ত ইনিংসটা টেনে নিতে পারলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারত, দলও একটা ভালো স্কোর পেতে পারত। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ওর জন্য বিরূপ কন্ডিশনেও বোলিং করা জরুরি।
দলের তরুণ ব্যাটসম্যানদের জন্য অনুকরণীয় ইনিংস। তবে নিজের হাতে তৈরি প্ল্যাটফর্মটা কাজে লাগাতে পারেনি।
নিজেকে মেলে ধরা ও প্রমাণ করার দারুণ একটা সুযোগের অপচয়। শামীম যদি নিজেকে কেবল একজন বিগ হিটিং ব্যাটসম্যানের ইমেজের মধ্যে আটকে রাখে, তাহলে সম্ভবত এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
অনেক ওভার থাকলেও সঙ্গী ছিল না। সে কারণেই হয়তো আক্রমণাত্মক খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত কয়েকটি ম্যাচের তুলনায় অনেক সাবলীল। লাইন, লেংথ, বাউন্স, সুইং—সব মিলিয়ে সমীহজাগানো বোলিং।
এ ম্যাচেও দুর্দান্ত বোলিং। রান কম দেওয়া এবং প্রচুর উইকেট নেওয়ার মতো ডেলিভারি। আশা করি ধারাবাহিকতা থাকবে।
স্বাভাবিক কারণেই উইকেটের আশায় বল করতে গিয়ে কিছুটা খরুচে। তবে হাসানের বোলিং স্কিল বা যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।