কেপটাউনে অদ্ভুত এক দিন শেষ হয়নি এখনো। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ভারত থেমেছে ১৫৩ রানে। তবে তাদের স্কোর এক সময় ছিল ৪ উইকেটে ১৫৩ রান।
সেখান থেকে আর কোনো রান যোগ না করতেই অলআউট হয়ে গেছে তারা। মানে কোনো রান যোগ না করেই ভারত হারিয়েছে শেষ ৬ উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটল এই প্রথমবার।
শেষ ৫ উইকেট জুটিতে এর আগে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের। ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমসিজিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ রান তুলতে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছিল তারা। ১০ রানের নিচে শেষ ৫ উইকেট হারানোর ঘটনা এর আগে ছিল ১৫টি।
তৃতীয় ওভারে যশস্বী জয়সোয়াল ফিরলেও ভারত শুরুটা পেয়েছিল দারুণ। ১ উইকেট হারিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের স্কোর পেরিয়ে যায় তারা। ৫০ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে রোহিত শর্মা ও ৫৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলা শুবমান গিল ছিলেন ইতিবাচক। রোহিতের সঙ্গে ৫৫ রানের পর কোহলির সঙ্গে গিলের জুটিতে ওঠে ৩৩ রান।
মাঝে ৩ ওভারের মধ্যে গিল ও শ্রেয়াস আইয়ার ফিরলেও লোকেশ রাহুল ও কোহলির জুটিতে ভারত এগোচ্ছিল ভালোভাবেই। রাহুল অবশ্য শুধু সঙ্গই দিচ্ছিলেন কোহলিকে, ৪৩ রানের জুটিতে তাঁর অবদান ছিল ৮ রান। লুঙ্গি এনগিডির করা ৩৪তম ওভারেই শুরু হয় ভারতের অভূতপূর্ব ধসের।
এনগিডির সে ওভারেই রাহুলের পর ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা ও যশপ্রীত বুমরা। বাড়তি বাউন্সের বলে উইকেটকিপার কাইল ভেরেইনার হাতে ক্যাচ দেন রাহুল। জাদেজা ও বুমরাও বাড়তি বাউন্সের শিকার—তাঁরা দুজনই ক্যাচ দেন গালিতে মার্কো ইয়ানসেনের হাতে।
এ ডামাডোলে রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়ে থামেন কোহলিও। এরপর মোহাম্মদ সিরাজ হন রানআউট, প্রসিধ কৃষ্ণা দেন ক্যাচ। এনগিডির মতো রাবাদার ওভারেও পড়ে ৩ উইকেট। এবং এত কিছু যে ঘটেছে, এর মধ্যে কোনো রানই করতে পারেনি ভারত!