যাহ, রেকর্ডটা হলো না! আউট হয়ে ফেরার সময় শন উইলিয়ামসের নিশ্চয়ই এমন আক্ষেপ হয়েছে।
৩৫তম ওভারের প্রথম বলে উইলিয়ামস যখন আউট হলেন, জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৯৬ বলে ৭০ রান। হাতে ৭ উইকেট। আগে ব্যাটিং করা নেদারল্যান্ডসের স্কোরটা জানা থাকলে অবাক লাগাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ৬ উইকেটে ৩১৫ রান তুলেছিল নেদারল্যান্ডস, যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর।
এই রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামসের ৫৮ বলে ৯১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৩ উইকেটে ২৪৩ রান তুলে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। ঠিক তখনোই আউট! অথচ তার আগপর্যন্তও সবাই আশায় ছিলেন, ২০২৩ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আগের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি উইলিয়ামস বুঝি এ ম্যাচেও ভাঙবেন!
আগের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জয়ে ৭০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। আজ নিজের সেই রেকর্ডই নতুন করে লেখার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। কিন্তু বাস ডি লিডকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন। তাতে জিম্বাবুয়ের জয়ে সমস্যা যেমন হয়নি, তেমনি ওয়ানডেতে দলটির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও লেখা হয়েছে নতুন করে।
উইলিয়ামস পারেননি তো কী হয়েছে, সিকান্দার রাজা তো ছিলেন! উইলিয়ামস যখন আউট হলেন, ৩৩ বলে ৪৫ রানে অন্য প্রান্তে ছিলেন রাজা। বাকি পথে হাল ধরে রাজা ভেঙেছেন আগের ম্যাচে উইলিয়ামসেরই গড়া দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। সেঞ্চুরি করতে রাজার লেগেছে মাত্র ৫৪ বল। তাতে জিম্বাবুয়েও জিতেছে ৫৫ বল (৯.১ ওভার) হাতে রেখে। ওয়ানডেতে ন্যূনতম ৩১৫ রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে কম ওভারের মধ্যে জয়ের তালিকায় তিনে উঠে এল জিম্বাবুয়ে। ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ বলে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন রাজা।
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন ৪৮ বলে ৫০ রান করেন। ব্যাটে–বলে দারুণ পারফরম্যান্স করা রাজাই ম্যাচসেরা। এর আগে ডাচদের ইনিংসে ৫৫ রানে ৪ উইকেট নেন রাজা। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ১১১ বলে ৮৮ রান করেন বিক্রমজিৎ সিং। ৫৯ রান ম্যাক্স ও’ ডাউডের। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস করেন ৮৩ রান। তবে যথেষ্ট হয়নি সেসব। এ নিয়ে বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচই জিতল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
হারারেতে অন্য ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নেপাল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শায়ান জাহাঙ্গীরের সেঞ্চুরিতে ৪৯ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র। ৭৯ বলে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন শায়ান জাহাঙ্গীর। নেপালের তারকা লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও উইকেট পাননি। ৪ উইকেট নেন করন কেসি। গুলশান ঝা নেন ৩ উইকেট। তাড়া করতে নেমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ম্যাচটি ৪২ বল হাতে রেখে জিতেছে নেপাল। ১১৪ বলে ৭৭ রান করেন ভিম শারকি। কুশল ভুর্তাল ও দীপেন্দ্র সিং ৩৯ রান করেন।