নাসিম শাহ চেষ্টার অন্ত রাখেননি। বল হাতে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট দিয়ে ভারতকে ১১৯ রানে আটকে রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। এরপর ব্যাট হাতে শেষ ওভারে দুটি চার মেরেও দলকে জেতাতে পারেননি।
চেষ্টা করেও পারেননি। ভারতের কাছে ৬ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ার সময় চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে নাসিমকে। সঙ্গে থাকা শাহিন আফ্রিদির সান্ত্বনাও তাঁর কান্না থামাতে পারেনি। নাসিম শাহর এমন চেষ্টার পরও ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন প্রশ্ন তুলেছেন দলগতভাবে পাকিস্তানের জয়ের প্রচেষ্টা নিয়ে।
উইকেট যত কঠিন হোক, কন্ডিশন যেমনই হোক—টি–টোয়েন্টিতে ১২০ রানের লক্ষ্য পেরোতে না পারাটা ভনের কাছে অদ্ভুতই লেগেছে। তিনি বাবর আজম–মোহাম্মদ রিজওয়ানদের আত্মবিশ্বাস নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
ম্যাচ শেষে পিচ আর কঠিন কন্ডিশনের বিষয়টি উল্লেখ করে ভন বলেছেন, ‘কখনো কখনো সত্যিকার অর্থেই বাজে পিচও সেরা ম্যাচ উপহার দেয়...এটা (ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ) সেগুলোরই একটি। পাকিস্তানের এই বিশ্বাসই নেই যে তারা জিততে পারে। এটাই মোদ্দা কথা।’
ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে অবশ্য বলছেন অন্য কথা। পাকিস্তান দলের সমস্যা না দেখে তিনি ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রশংসা করেছেন। ম্যাচ শেষে এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য এক ফল। শেষে তো সর্বোচ্চ মানের বোলিং ছিল। ম্যাচটা তো হাত থেকে চলেই গিয়েছিল। বোলাররা ফিরিয়ে এনেছে।’
ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান আবার সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের, ‘পাকিস্তানের সব ক্রিকেট সমর্থকদের বলছি, তোমাদের দল ম্যাচের বিভিন্ন বিভাগে ভালো করেছে। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারেনি। যে পিচে কিছু থাকবে, সেখানে এই ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে সব সময়ই সমস্যায় পড়তে হবে।’