২০২১ সালের ডিসেম্বরে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল মাইকেল নেসারের। পরের টেস্টটি খেলতে প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হয় এই পেসারকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অ্যাডিলেডেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর কোনো টেস্ট এখন পর্যন্ত আর খেলা হয়ে ওঠেনি তাঁর।
সেই নেসারকে আবার দলে ফিরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ড সফরের দুই টেস্টের সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৪ জনের দলে আছেন নেসার। এর বাইরে অবশ্য সে অর্থে কোনো পরিবর্তন বা চমক অস্ট্রেলিয়ার দলে নেই। নিয়মিত মুখদের নিয়েই তাসমান সাগরের ওপাড়ের প্রতিবেশীদের দেশে যাবে প্যাট কামিন্সের দল।
গত ৩ বছরে মাত্র দুটি টেস্ট খেলা নেসার অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে প্রায়ই থাকেন। সর্বশেষ গত বছর ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের স্কোয়াডে ছিলেন এখন পর্যন্ত ১০৩টি প্রথম শ্রেণিতে ৩৫৭ উইকেট নেওয়া নেসার। এ বছর অবশ্য ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট শেফিল্ড শিল্ডে ৫০.৩৩ গড়ে মাত্র ৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে তাঁকে আদর্শ বোলার ভাবা হচ্ছে, সঙ্গে তাঁর ব্যাটিংয়ের উন্নতিও চোখে পড়েছে নির্বাচকদের।
এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পছন্দের বোলিং আক্রমণে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডের সঙ্গে নাথান লায়নেরই থাকার কথা। দুই টেস্টেই এ আক্রমণ থাকলে একই কম্বিনেশন নিয়ে টানা সাতটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তাঁদের ব্যাকআপ হিসেবে নেসারের সঙ্গে থাকবেন স্কট বোল্যান্ড।
নেসারকে নেওয়ার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং আমরা যে কন্ডিশন প্রত্যাশা করছি, এসবের ভিত্তিতে মাইকেল নেসারকে আরেকটি সুযোগ পেতে দেখে ভালো লাগছে। আমরা ভিন্ন ধরনের বোলারদের কথা ভেবেছি। শুধুই নিউজিল্যান্ড বলে এ সফরের একটা বিলাসিতা হচ্ছে—অনেক লম্বা নয়, ফলে কয়েকজনকে নির্দিষ্ট ভূমিকাতেই নেওয়া হয়েছে। কাউকে দরকার পড়লে ওপাড়ে যাওয়াটা বড় কোনো চ্যালেঞ্জও নয়।’
অবশ্য দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব বেশি না হলেও কনকাশন বা এমন কিছুর জন্য সবার সে অর্থে ব্যাকআপ নেই অস্ট্রেলিয়া দলে। যেমন একমাত্র স্পিনার লায়নই, অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে আর কোনো উইকেটকিপার নেয়নি অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাটিং লাইনআপেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যাঁরা খেলেছিলেন, তাঁরাই থাকছেন। ডেভিড ওয়ার্নার চলে যাওয়ার পর ওপেনারের নতুন ভূমিকায় এসেছেন স্টিভেন স্মিথ, চারে খেলছেন ক্যামেরন গ্রিন। রিজার্ভ ব্যাটসম্যান হিসেবে আবারও নেওয়া হয়েছে ম্যাট রেনশকে। ফলে আলোচিত ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের সুযোগ মেলেনি এবারও।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৩ সালের পর সেখানে কোনো টেস্ট হারেনি তারা, জিতেছে সর্বশেষ ৪টি সিরিজই। এবারের সিরিজ শুরহু ওয়েলিংটনে ২৯ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় টেস্ট ক্রাইস্টচার্চে ৮ মার্চ শুরু হবে।
নিউজিল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়া দল
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেড, উসমান খাজা, মারনাস লাবুশেন, নাথান লায়ন, মিচেল মার্শ, মাইকেল নেসার, ম্যাথু রেনশ, স্টিভেন স্মিথ ও মিচেল স্টার্ক।