প্রথমবার বিপিএলে খেলবেন বেন কাটিং
প্রথমবার বিপিএলে খেলবেন বেন কাটিং

ছক্কার মার দেখাতে বিপিএলে কাটিং

১৪৬.৯৬—সংখ্যাটা সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০৯ ম্যাচ খেলা বেন কাটিংয়ের স্ট্রাইক রেট। এবারের বিপিএলে দেখা যাবে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের এই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারকে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই খেলবেন ৩৬ বছর বয়সী এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা কাটিং বাংলাদেশের মাটিতেও নিজের সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ প্রথম অনুশীলন করেছে কাটিংয়ের দল সিলেট। সেখানে অনুশীলন-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দর্শকদের বিস্ফোরক ব্যাটিং উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি শুনিয়েছেন কাটিং, ‘আশা করি, আপনারা কিছু ছক্কা দেখতে পারবেন। আমি ব্যাটে-বলে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছি। আশা করি, ভালো কিছু ম্যাচ খেলতে পারব।’

এবারের বিপিএলে সিলেট দলের মূল ভরসা হয়ে উঠতে পারেন কাটিং। লোয়ার অর্ডারে দ্রুত রান তোলার পাশাপাশি বোলিংয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সামর্থ্য আছে তাঁর। দীর্ঘদেহী এই পেসারের অতিরিক্ত বাউন্স সিলেটের ঘরের মাঠের কন্ডিশনে কার্যকর হতে পারে।

আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন কাটিং

কাটিংও সেদিকে তাকিয়ে আছেন। বিপিএলের লিগ পর্বের সিলেটের ১২ ম্যাচের মধ্যে ৫টিই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। প্লে–অফে জায়গা করে নিতে হলে সেই ৫টি ম্যাচকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন কাটিং, ‘কোনো ম্যাচ খেলার আগে ফলাফলের ব্যাপারে কথা বলাটা কঠিন। পুরো দল নিয়ে আজকে আমাদের প্রথম অনুশীলন। এটি আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর ব্যাপার। প্রথম ম্যাচে নামার জন্য উন্মুখ আছি। এই উইকেটের ব্যাপারে অনেক কথা শুনেছি। এই উইকেটে খেলা কঠিন। এখানে দুটি ম্যাচ খেলে আমরা সিলেটে যাব। আমাদের ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে খেলব। সেখানে আপনি পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিই জিততে চাইবেন, যা আমাদের টুর্নামেন্টের বাকি পথটা মসৃণ করে দেবে।’

মাশরাফি-নাজমুলদের নিয়ে সাজানো সিলেটের দলটাকেও বেশ ভারসাম্যপূর্ণ বলছেন কাটিং, ‘আমার মনে হয়, আমাদের দলটা খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। বেশির ভাগ ক্রিকেটারের সঙ্গে আজকে প্রথমবার দেখা হলো। তাদের কয়েকজনের বিপক্ষে গত কয়েক বছরে খেলেছি। এখন একই দলে খেলার অভিজ্ঞতা ভালো হবে। আমার মতে, খুব শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়েছে আমাদের। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের দারুণ সমন্বয় রয়েছে। এসব টুর্নামেন্টে এমনটাই চাওয়া থাকে।’

বাংলাদেশে আসার আগে কন্ডিশন সম্পর্কেও প্রাথমিক ধারণা নিয়ে এসেছেন তিনি, ‘(উইকেট যেমনই হোক) আমার সমস্যা নেই (হাসি)। আমি ব্যাটিং-বোলিং দুটিই করি। তাই উইকেট ব্যাটিং বা বোলিং–সহায়ক—আমার সমস্যা নেই। সত্যি বলতে এবারের উইকেট সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু শুনিনি। তবে টিভিতে অনেক বছর ধরেই বিপিএল দেখেছি, অনেক রান হতে দেখেছি। টুর্নামেন্ট যতটা এগোয়, বেশির ভাগ সময় স্পিনারদের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেখেছি। এসব টুর্নামেন্টে এটা প্রত্যাশিতই।’

এবারের বিপিএলে কাটিংই একমাত্র অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, ব্র্যাড হজ, শন টেইটরা বিপিএল খেলে গেছেন। তবে কখনোই বিপিএলে অস্ট্রেলীয় দাপট ছিল না। সেটার যৌক্তিক কারণও আছে। কাটিং তা মনে করিয়ে দিলেন, ‘একই সময়ে বিগ ব্যাশ চলে অস্ট্রেলিয়ায়। আমি বাদে খুব কম অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারই অন্য লিগ খেলতে পারে। সম্ভবত ২-১ জন ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটারই শুধু খেলতে পারে। অন্যজন ক্রিস লিন, সে বিগ ব্যাশ খেলছে। এটাই একমাত্র কারণ। তবে আমি নিশ্চিত, ছেলেরা বিপিএল খেলতে এলে অনেক উপভোগ করত। বিগ ব্যাশের সঙ্গে সূচি সাংঘর্ষিক না হলে অস্ট্রেলিয়ার অনেকেই খেলতে পারত।’