ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬টি টেস্ট খেলেছেন। এই ৬ টেস্ট খেলেই নিজের জাতটা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন হ্যারি ব্রুক। ৬ টেস্টে ব্রুক ৮০.৯০ গড়ে রান করেছেন। স্ট্রাইক রেটটাও চোখে পড়ার মতো, ৯৮.৭৭। ওয়ানডে আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য এখনো পর্যন্ত অতটা ভালো করতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৩টি ওয়ানডে খেলে রান করেছেন ৮৬, ২০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩৭২।
এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে শুরুটাও ভালো হয়নি ব্রুকের। প্রথম তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র ২৯ রান (১৩, ৩ ও ১৩)। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে এসে যেন আসল ব্রুককে পেয়েছে হায়দরাবাদ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা হায়দরাবাদ যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৮ রান করতে পেরেছে, তা ব্রুকের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতেই। এটাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়েছে হায়দরাবাদকে। কলকাতার অধিনায়ক নীতিশ রানা ও রিংকু সিং চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি। কলকাতা হেরেছে ২৩ রানে।
জয়ের জন্য ২২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে কলকাতা। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সুনীল নারাইন কোনো রান না করে এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার ১০ রানে আউট হয়ে ফেরেন। তবে অধিনায়ক নীতিশ রানা ৪১ বলে ৭৫ রান করে কলকাতার আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আগের ম্যাচে টানা ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে কলকাতাকে জেতানো রিংকু আজও ভালো ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু ৩১ বলে তাঁর অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। হায়দরাবাদের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন ও মায়াঙ্ক মানকান্ডে।
এর আগে ৫৫ বলে ১২ চার ও ৩ ছয়ে অপরাজিত ১০০ রান করেছেন হায়দরাবাদের ইংলিশ ওপেনার ব্রুক। এবারের আইপিএলে এটাই কোনো খেলোয়াড়ের প্রথম সেঞ্চুরি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এর আগে অবশ্য একটি সেঞ্চুরি করেছেন ব্রুক। এর আগে পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ হায়দরাবাদের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ২৬ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে করেছেন ৫০ রান। এ ছাড়া অভিষেক শর্মা ১৭ বলে খেলেছেন ৩২ রানের ইনিংস। কলকাতার পক্ষে ২.১ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।