উসমান খাজা
উসমান খাজা

২০০ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে খাজা বললেন ‘দলই আগে’

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে দলের স্বার্থই বড়। ক্রিকেটে এই কথাটা বেশ প্রচলিত। এ কারণেই তো কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলার পরও আরও ভালো স্ট্রাইক রেটে খেলা যেত কি না, এই আলোচনা চলে।

আবার দলের প্রয়োজনেই আগ্রাসী না হয়ে ক্রিজের একপাশ ধরে রেখে ব্যাট করা যেত কি না, এই আলোচনাটা কিন্তু সব সময়ই প্রাসঙ্গিক থাকে। আর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল তো এই নীতিবাক্য মেনে চলার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ হতে পারে সিডনি টেস্টে উসমান খাজাকে ১৯৫ রানে অপরাজিত রেখে প্যাট কামিন্সের ইনিংস ঘোষণা। দলের স্বার্থে যে ওপেনার তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতককে জলাঞ্জলি দিয়েছেন, সেই খাজাও কিন্তু দিন শেষে বলেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের চিরাচরিত সেই কথা—দল সবকিছুর আগে।

সিডনি টেস্টে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার পর খাজা কথা বলেছেন কামিন্সের ইনিংস ঘোষণা নিয়ে। খাজা নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৯০ রান ছুঁয়েও দ্বিশতক করতে পারেননি।

ম্যাচসেরা হয়েছেন উসমান খাজা

খাজার আগে ১৯০ রান ছোঁয়ার পর দ্বিশতকের আগেই ইনিংস ঘোষণার নজির আছে টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দুটি। মেয়ের গলায় ম্যাচসেরার মেডেল পরিয়ে দিয়ে ৩৬ বছর বয়সী ওপেনার বলেছেন, ‘নামের পাশে দ্বিশতক থাকলে ভালো লাগত। আমরা মাঠে নামি এই সব অর্জনের জন্যই। কিন্তু দিন শেষে তো জয়টাই আসল। ছোট–বড় যারাই এই ম্যাচটা দেখেছে, কিংবা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটটা যারা দেখে আসছে, তারা জানে অস্ট্রেলিয়ার খেলায় দল সবকিছুর আগে। আর দলগত খেলাতে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

খাজার আফসোস না থাকলেও আফসোসে পুড়তে পারেন অধিনায়ক কামিন্স। সিডনি টেস্ট শেষ পর্যন্ত নিষ্প্রাণ ড্র’ই হলো। বৃষ্টিবিঘ্নিত সিডনি টেস্টের ভাগ্য বোলাররা আর বদলাতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স আর কয়েকটি বল খাজাকে খেলার সুযোগ দিলে কী আর এমন হতো!