অধিনায়কত্ব নিয়ে বাবর আজমকে খোঁচা দিয়েছেন গাভাস্কার
অধিনায়কত্ব নিয়ে বাবর আজমকে খোঁচা দিয়েছেন  গাভাস্কার

পরিত্যক্ত ম্যাচের অধিনায়কত্ব নিয়ে বাবরকে খোঁচা গাভাস্কারের

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চের আশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে হতে পেরেছে এক ইনিংস। তবে তাতেই যেন আলোচনার রসদ পেয়ে গেছেন সমালোচকেরা। ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার যেমন খোঁচা দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে। বাবরের এমন কাজের কারণে ভারতও তাঁকে ধন্যবাদ দেবে, গাভাস্কার বলেছেন এমন।

ম্যাচের আগেই বিরাট কোহলি বলেছিলেন, পাকিস্তানের বোলিং বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে ভারতের। শাহিন শাহ আফ্রিদির শুরুর ধাক্কার পর সেটিই বড় হয়ে উঠেছিল আরও। দুর্দান্ত ডেলিভারিতে রোহিত শর্মার পর বিরাট কোহলিকেও ফিরিয়ে শুরুতেই ভারতকে চাপে ফেলে দেন আফ্রিদি। এরপর হারিস রউফ এসে শ্রেয়াস আইয়ার ও শুবমান গিলকে ফেরালে ৬৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।

কিন্তু এরপরই হার্দিক পান্ডিয়া ও ঈশান কিষানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে ভারত। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৩৮ রান। পাকিস্তানের দুই স্পিনার শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজের পর মাঝের ওভারগুলোতে চড়াও হন তাঁরা। গাভাস্কার ম্যাচের সে পর্যায়ে পাকিস্তানের কৌশলের সমালোচনা করেছেন।

পাকিস্তানকে শুরুতেই ব্রেকথ্রু এনে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি

গাভাস্কার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় বোলিংয়ের পরিবর্তনের কোনো যথার্থতা ছিল না। কারণ, আপনার কাছে যদি তিনজন এমন পেসার থাকে যারা দ্রুত উইকেট নিয়েছে, তাহলে এক প্রান্তে আপনি অন্তত একজনকে বোলিং করাবেন। আমি জানি লম্বা স্পেল করা কঠিন, একজন তো এক প্রান্তে করতেই পারত, অন্য প্রান্তে শাদাব বা নেওয়াজ করত।’

এ কারণে বাবরকে ভারত ধন্যবাদ দেবে বলেও মনে করেন গাভাস্কার, ‘মানে ভারত তো বড় ধন্যবাদই দেবে; কারণ, এর কারণেই জুটিটা মেলে ধরতে পেরেছে। সেটি না হলে পেসাররা যদি হার্দিক পান্ডিয়া বা ঈশান কিষানের মধ্যে একটি উইকেটও নিত, তাহলে ভারত ১৭৫ বা ২০০ করতেই ভুগত।’
কিষান-পান্ডিয়ার সে জুটি ভেঙেছিল কিষানের উইকেটে। এরপরও পান্ডিয়া ভারতকে টানলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকই ধস নামে ভারত ইনিংসে। ২৩৯ রানে ৬ উইকেট থেকে ৭ বল বাকি থাকতে ২৬৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। ভারতের স বকটি উইকেটই ভাগ করে নেন পাকিস্তানের তিন পেসার—আফ্রিদি, রউফ ও নাসিম শাহ।

ভারত বাবরকে ধন্যবাদ দিতেই পারে, মনে করেন সুনীল গাভাস্কার

বাবরের বোলিং পরিবর্তন গাভাস্কারকে সন্তুষ্ট করতে না পারলেও সেটির প্রভাব ম্যাচে কতটা থাকতে পারত, সেটি অবশ্য আর জানার উপায় নেই। ইনিংসের মাঝপথে ২৬৭ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংস রোমাঞ্চকর হবে, এমন আশা করা হলেও ক্যান্ডির আবহাওয়া সেটি আর হতে দেয়নি। পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নামার আগেই বৃষ্টিতে ভেসে যায় সে ম্যাচ।

অবশ্য পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলে প্রথম ম্যাচে নেপালকে গুঁড়িয়ে দেওয়া পাকিস্তান। পরের রাউন্ডে ভারতের যাওয়া ঝুলে আছে এখনো। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নেপালের বিপক্ষে খেলছিল ভারত, যে ম্যাচে হার এড়ালেই সুপার ফোরে যাবে রোহিত শর্মার দল। বৃষ্টি আবারও বাগড়া দিলেও আগে ব্যাটিং করা নেপাল শেষ পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারে গুটিয়ে গেছে ২৩০ রানে।