লক্ষ্য ১৮৫ রান। খুব বেশি নয়, তবে টেস্টে এই রান তাড়া করা খুব সহজ কাজ নয়। এ ছাড়া প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের ১৮৫ বা এর চেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতার অভিজ্ঞতা আছে তিনবার। যার সর্বশেষটি ২০১২ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
কিন্তু রাওয়ালপিন্ডিতে আজ দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে বাংলাদেশেরও আছে প্রেরণার জায়গা। টেস্টে ছয়বার ২১৫ বা এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য পেয়ে ছয়বারই জিতেছে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে টেস্টে সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সও বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত টেস্টে দলের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং গড় ৩২.৫৫। যা এই সময়ে যেকোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ এই সময়ে ম্যাচ খেলেছে ৮টি। নিউজিল্যান্ড আছে এই তালিকার দুই নম্বরে, ১০ ম্যাচে খেলা কিউই ব্যাটসম্যানদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং গড় ৩১.৫০।
এই দুই দলের ব্যাটসম্যানরা ছাড়া এই সময়ে আর কোনো দলের ব্যাটসম্যানদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং গড় ৩০–এর বেশি নয়। এই সময়ে সবচেয়ে কম গড়ে রান করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ৭ ম্যাচ খেলা বাবর আজমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন ১৭.০৩ গড়ে।
বাংলাদেশ সবার ওপরে আছে আরও একটি জায়গায়। ২০২৩ সালের শুরু থেকে টেস্টে দলের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতি ৩৪.৪০ রান করতে একটি করে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ে যেকোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। এই তালিকার তালানিতে আছে পাকিস্তানের নাম। তারা ১৮.৪০ রান করতে হারায় একটি করে উইকেট। যদিও এটি এখন বাংলাদেশের দেখার বিষয় নয়। এই ম্যাচে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস এরই মধ্যে শেষ।
ব্যাটসম্যানদের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে চলে পাকিস্তানি বোলারদেরও দুর্দশা। ২০২৩ সালের শুরু থেকে ৮ ম্যাচ খেলা পাকিস্তান বোলাররা প্রতি উইকেট নিতে রান খরচ করেছেন ৩৪.৩০। আফগানিস্তান ছাড়া যা এই সময়ে সবচেয়ে বাজে গড়। আফগানিস্তান প্রতিটি উইকেট নিতে খরচ করেছে ৭৪ রান। যদিও তারা টেস্ট খেলেছে মাত্র ৩টি।