জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশ দলের অভিনন্দন বিনিময়
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশ দলের অভিনন্দন বিনিময়

তামিম ভেবেছিলেন, বাংলাদেশ ৩৫ ওভারের মধ্যে হেরে যাবে

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম ইকবালের মুখে হাসিটা সেভাবে ফুটে উঠল না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ শেষ ম্যাচটা ১০৫ রানে জিতলেও ২–১ ব্যবধানে সিরিজ হার তার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।

তবে স্বস্ত্বিও আড়াল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে দল ৩০৩ রান তুলেও হেরেছে, পরের ম্যাচে ২৯০ রানও জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ করতে পারেননি বোলাররা। আজ তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ তুলেছে ৯ উইকেটে ২৫৬। স্বাভাবিকভাবেই এই সংগ্রহ নিয়ে তামিমের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ার কথা।

তামিম সে কথা স্বীকারও করলেন, ‘যখন আপনি তিন শ (৩০৩) ও ২৯০ রান করেও হারবেন, তখন ২৫০ রান দুই শ–র মতো মনে হবে। ভেবেছিলাম, আমরা ৩৫ ওভারের মধ্যে হেরে যেতে পারি।’ এই দুশ্চিন্তা নিয়ে মাঠে নামলেও শেষ পর্যন্ত ওয়ানডে সিরিজে জয়ের মুখ দেখেছেন তামিম। ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।

স্বাগতিকদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয়ের পেছনে নিজের একটি ভাবনার কথা জানালেন বাংলাদেশ। সেটি অবশ্য ওই ৩৫ ওভারের মধ্যে হেরে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকেই এসেছে। সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছে আগেই। শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিতে হলে মরিয়া হয়ে কিছু একটা করতেই হতো বাংলাদেশকে। তামিম এই কিছু একটা করার তাড়না থেকেই আক্রমণকে বেছে নেন হাতিয়ার হিসেবে।

অভিষেকেই দারুণ বল করেছেন ইবাদত

অর্থাৎ, বোলিংয়ে শুধু আক্রমণ, আক্রমণ এবং আক্রমণ—এই মন্ত্রই বোলারদের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তামিম, ‘আমি ভেবেছি, শুধু আক্রমণ এবং আক্রমণই করব। তারপর কী হয় দেখা যাবে। সৌভাগ্যবশত আমরা দ্রুতই ৫টি উইকেট পেয়ে যাই, এরপর বাকি কাজটাও হয়ে যায় ।’

সিরিজের এই শেষ ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক ঘটল পেসার ইবাদত হোসেনের। নিজের এক ওভারে ওয়েসলি মাধেভেরে ও আগের দুই ম্যাচে শতক তুলে নেওয়া সিকান্দার রাজাকে তুলে নেন ইবাদত। ষষ্ঠ ওভারের মধ্যে ১৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে তখন ধুঁকছিল।

ইবাদতের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট তামিম বললেন, ‘আমরা তাকে অনেকদিন ধরেই দলের সঙ্গে রেখেছি। এই সিরিজে মুল দলে সে জায়গা না পাওয়ায় একটু অবাকই হয়েছি। এটা ছিল তার জন্য খুব ভালো সুযোগ এবং সৌভাগ্যবশত সে প্রত্যাশা পূরণ করেছে।’