মাঠেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাঁর এলবিডব্লু আউটটি নিয়ে আম্পায়ারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। কিন্তু কী আর করা! ক্রিকেটে যে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সাকিবের ওই আউটের পরই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সুরটা কেটে যায়। ১ উইকেটে ৭৩ থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩ উইকেটে ৭৩ রান! এরপর মাত্র ৫৪ রানে পড়েছে আরও ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন জাগিয়েও তা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারেনি। তবে এসব আলোচনা ছাপিয়ে ম্যাচ শেষে সাকিবের এই বিতর্কিত আউট নিয়ে কথা হচ্ছে বেশি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ওপেনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন আম্পায়ারকে, ‘আমার কাছে, আমাদের সবার কাছে মনে হয়েছে আউটটা হয়নি। আমরা নিশ্চিত ছিলাম, আউট হয়নি। সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের, এর ওপরে কিছু বলার নেই।’
শাদাবের করা ইনিংসের ১১তম ওভারেই আউট হন সাকিব। আম্পায়ারের এলবিডব্লু দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। টেলিভিশন রিপ্লেতেও পরিষ্কার দেখা গেছে, সাকিবের ব্যাট অতিক্রম করার সময় সেটি ছুঁয়ে গেছে শাদাবের বল। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে জিম্বাবুয়ের টিভি আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে শেষ পর্যন্ত ফিল্ড আম্পায়ারের এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন।
ইনিংস ব্রেকে সেই শাদাবই কথা বলেছেন সাকিবের আউট নিয়ে। এই লেগ স্পিনার বলেছেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, ‘বোলাররা তাদের কাজ করেছে। কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে বোলাররা বল করেছে। সাকিবের বেলায় আম্পায়ার আউট দিয়েছে, অর্থাৎ এটি আউট ছিল।’
মাঠেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ম্যাচ শেষে নিজের আউট নিয়ে কোনো কথা বলেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব।