২০১৬ সালে ইংল্যান্ড যখন সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসেছিল, তার আগের বছরের বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর একটা পালাবদলের মধ্যে ছিল দলটি। ২০২৩ সালে দলটি যখন আবার বাংলাদেশ সফরে, তখন সীমিত ওভারে দুই সংস্করণেরই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা। টেস্ট ক্রিকেটেও এক ধরনের বিপ্লব আনছে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম–বেন স্টোকস জুটির ইংল্যান্ড।
এমন একটি দলের বিপক্ষে সিরিজে নিজেদের অবস্থানটা বাজিয়ে দেখার জন্য ভালো সুযোগ বলে মনে করছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এখনকার ইংল্যান্ড দলের শক্তিমত্তাকে ‘বিস্ময়কর’ও বলেছেন তিনি।
আজই ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ শেষ হয়েছে ইংল্যান্ডের। আগামীকাল থেকে আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু তাদের। স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট দলে থাকা জো রুটদের মতো কয়েকজনকে বাংলাদেশ সিরিজের শুরু থেকে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড।
সিরিজ শুরুর আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের শক্তিমত্তা তুলনায় সেটি একটু মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন হাথুরুসিংহে, ‘আমার মনে হয় আমরা পূর্ণশক্তির দল, তবে তারা ঠিক পূর্ণশক্তির দল নিয়ে আসেনি। ফলে আমাদের স্কিল ও শক্তিমত্তার ওপর ভরসা রাখছি।’
তবে এ দলটাকে সামলানোও যে সহজ হবে না, হাথুরুসিংহে সেটি জানেন ভালোভাবেই। এরপর তাই হাসতে হাসতে যোগ করলেন, ‘তবে এটাও বলতে হবে, তাদের শক্তিমত্তা দুর্দান্ত। গত দশ বছরে তারা দলে দারুণ গভীরতা তৈরি করেছে। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশই এটা ঈর্ষা করে। প্রতিটি কোচই এমন ডেপথ তৈরি করতে চায়। আশা করি আমিও এমন কিছু করে যেতে পারব এবারের মেয়াদ শেষে।’
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই নিজেদের শক্তিমত্তা বাজিয়ে দেখার সুযোগ, হাথুরুসিংহে মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটিও, ‘নিজেদের অবস্থানটা বোঝার জন্য তাদের বিপক্ষে খেলা আসলেই আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ। এমন কন্ডিশনে ভালো করলে নিজেদের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে।’
তবে এটিকেই শুধু প্রেরণা হিসেবে মানতে রাজি নন তিনি, ‘তাদের কথা ভেবে যদি আমাদের নিজেদের টেনে তুলতে হয়, তাহলে আসলে এটা সঠিক প্রেরণা হলো না। জাতীয় দলের হয়ে খেললে আপনি সব সময়ই ভালো করতে চাইবেন। এটা নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলছেন। তাদের একটা দল এক জায়গায় খেলছে, আরেক জায়গায় আরেকটি দল। তাদের মেধার ডেপথ আসলে বিস্ময়কর।’
জফরা আর্চার, মার্ক উডকে নিয়ে ইংল্যান্ডের বোলিং লাইনআপ অবশ্য পূর্ণশক্তিরই। ইংলিশ পেস আক্রমণের বিপক্ষেও নিজেদের চ্যালেঞ্জ দেখছেন হাথুরুসিংহে, ‘তাদের পেস আক্রমণ অনেক ভালো, বিশ্বের অন্যতম সেরা। এ দলেও পাঁচজন পেসার ও তিন জন স্পিনার আছে। পেসারদের সামলানো চ্যালেঞ্জ হবে।’
ইংল্যান্ড সিরিজের আগে দলকে নিয়ে কাজ করার জন্য এক সপ্তাহের একটু বেশি সময় পেয়েছেন হাথুরুসিংহে। তবে দলকে প্রস্তুতই মনে হচ্ছে তাঁর কাছে, ‘আমরা এ সিরিজের জন্য খুব ভালোভাবেই প্রস্তুত। আমরা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। আমরা নিজেদের আত্মবিশ্বাসের ওপরই ভরসা রাখছি। ড্রেসিংরুমে এটি নিয়েই কথা হয়েছে, নিজেদের সেরাটা দেব। এরপর দেখা যাক, কী হয়।’