ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস

বেশি উপভোগ্য ক্রিকেট খেলতে গিয়েই বেশি শাস্তি ইংল্যান্ডের

২-২।

এবারের অ্যাশেজের ফলই বলে দেয় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে কতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।

ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেই অ্যাশেজ শেষ হতে না হতেই হাজির আরেকটি সংখ্যা। সেই সংখ্যাটাও এবারের অ্যাশেজকেন্দ্রিক। ১৯-১০, আর তাতে কী বিশাল ব্যবধানেই না এগিয়ে ইংল্যান্ড! মন্থর ওভার রেটের কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আইসিসি ইংল্যান্ডের ১৯ পয়েন্ট কেটেছে, অস্ট্রেলিয়ার কেটেছে ১০ পয়েন্ট।

দুই দলের শাস্তিতে এতটা পার্থক্য কেন, সেই প্রশ্ন তো উঠেছেই। আর সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে আরেকবার সামনে এসেছে ‘বাজবল’। বেশি উপভোগ্য ‘বাজবল’ ব্যাটিংয়ের কারণেই যে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দ্বিগুণ শাস্তি পেয়েছে বেন স্টোকসের দল। অথচ সিরিজে দুই দলেরই ওভার রেট প্রায় সমান—প্রতি ঘণ্টায় ১২ ওভারের একটু বেশি।

পয়েন্ট কাটা গেছে অস্ট্রেলিয়ারও

তাহলে শাস্তিতে এত পার্থক্য হলো কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই সামনে এসেছে ‘বাজবল’। মন্থর ওভার রেটের শাস্তিটা এমন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোলিং দল যদি এক ওভার পিছিয়ে থাকে, তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ১ পয়েন্ট হারাবে এবং ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা দেবে। তবে প্রতিপক্ষকে ৮০ ওভারের মধ্যে অলআউট করলে প্রযোজ্য হবে না মন্থর ওভার রেটের নিয়ম। অস্ট্রেলিয়া সুবিধা পেয়েছে এই নিয়মেরই।

এবারের অ্যাশেজে ৯ ইনিংসের মধ্যে ছয়বারই ৮০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি ইংল্যান্ড। তাতে ব্যাটিং–ব্যর্থতার চেয়ে স্টোকসদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অবদানই বেশি। ম্যাচের ফল পক্ষে আনতে কম সময়ে বেশি রান করাটাই যে ম্যাককালাম-স্টোকস যুগে ইংল্যান্ডের মূলনীতি।

আক্রমনাত্মক ব্যাটিংই এখন ইংল্যান্ডের মূলমন্ত্র

অন্যদিকে, ১০ ইনিংসের মধ্যে সাতবারই অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করেছে ৮০ ওভারের বেশি। আর তাতেই বিপদে পড়েছে ইংল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়া ১০টি পয়েন্টই হারিয়েছে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া চতুর্থ টেস্টের জন্য। ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেই টেস্টে ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফিও খুইয়েছেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা।

মন্থর ওভার রেটের শাস্তির খড়্গ না থাকলে অ্যাশেজ থেকে ২৮ পয়েন্ট পেত ইংল্যান্ড। এখন দলটি পেয়েছে মাত্র ৯ পয়েন্ট। সিরিজ থেকে পয়েন্ট কাটার পর অস্ট্রেলিয়ার নেট পয়েন্ট ১৮। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখন তিনে আছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড পাঁচে। দুই দলের মধ্যে চারে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান ও ভারত আছে শীর্ষ দুইয়ে।