তাসকিন আহমেদকে তখন আর আটকায় কে! উইকেট নেওয়ার আনন্দে দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মাটিতে। নাহিদ রানাকে বোল্ড করেই যে নিশ্চিত করে দিলেন টানা ছয় ম্যাচ হারার পর ঢাকা ডমিনেটরসের দ্বিতীয় জয়!
মাত্র ১০৮ রান করেও ঢাকার ২৪ রানের জয়ের নায়কও তাসকিনই। ৩.৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর তাতে বিপিএলে সবচেয়ে কম রান করে জয়ের তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে এখন ঢাকা। ২০১৩ সালে ৯৯ রানের নিয়ে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ২ রানে জিতেছিল দুরন্ত রাজশাহী।
ঢাকার জয়ের রাতে বিশেষ দ্রষ্টব্য সৌম্য সরকারের রানে ফেরাও। ব্যাটিংয়ে বেশ ভুগছিলেন এ বাঁহাতি। আগের ৭ ম্যাচ মিলিয়ে রান মাত্র ৪৫। অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও গতকাল সেই সৌম্যই ৪৫ বলে করেছেন ৫৭ রান, যাতে ছিল দেখার মতো কিছু শট। চার মেরে অর্ধশত পূর্ণ করেন ৩৮ বলে। ৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছক্কাও।
তবে বড় শটের চেষ্টা করতে গিয়েই একের পর এক ফিরেছেন ঢাকার অন্য ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন দুজন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রানের ইনিংসটি আটে নামা তাসকিনের। তখন কে জানত, সেই তাসকিনই হবেন বল হাতে ঢাকার আরেক নায়ক!
অথচ রাতটা হতে পারত খুলনার নাহিদুল ইসলামেরও। ৪ ওভার, ২ মেডেন, ৬ রান, ৪ উইকেট—টি-টোয়েন্টিতে নিজের সেরা বোলিং করেও কিনা ম্যাচ শেষে এই অফ স্পিনার থাকলেন পরাজিত শিবিরে! বিপিএলের ইতিহাসে আরাফাত সানির পর এক ম্যাচে দুই মেডেনের কীর্তিও গড়েছেন নাহিদুল। ইনিংসে এর চেয়ে কম রান খরচ করার রেকর্ড আছে আর মাত্র পাঁচটি। সঙ্গে নাসুম আহমেদের ১১ রানে ৩ উইকেটের সুবাদে ১৯.৪ ওভারে ১০৮ রানেই শেষ ঢাকার ইনিংস।
নাহিদুলের সেই বোলিংয়ের কী দারুণ জবাবটাই না দিলেন তাসকিন! ঢাকার মতো খুলনাও উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ১৫.৩ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট। তামিম ইকবাল (৩০) ও ইয়াসির আলী (২১) ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি আর কেউই।