সূর্যকুমার যাদব ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন সূর্য। ধারাবাহিকভাবে আলো ছড়িয়ে সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও ব্যাট হাতে তুলেছিলেন ঝড়। তাঁর ৩৬ বলে ৬৯ রানে ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২–১ ব্যবধানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে ভারত।
তবে এই ম্যাচ খেলার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না সূর্যকুমার। ম্যাচের আগের রাতে পেটব্যথা এবং জ্বরে ভুগছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে সূর্যকুমার চেয়েছিলেন, যেকোনো মূল্যে খেলতে। ম্যাচ শেষে ঝুঁকি নিয়ে খেলার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
হায়দরাবাদে ১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ভারত। তবে সেখান থেকে দারুণ এক জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার।
দুজন মিলে গড়েন ৬২ বলে ১০৪ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি। ১৯১.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৯ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। তবে যে পরিস্থিতিতে এই ম্যাচে সূর্যকুমার খেলেছেন, তা বেশ চ্যালেঞ্জিংই ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর বিসিসিআই টিভিতে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে আলাপের সময় নিজের অসুস্থতার কথা জানান সূর্যকুমার, ‘আবহাওয়া পরিবর্তন এবং ভ্রমণের কারণে আমার পেটে ব্যথা হচ্ছিল এবং জ্বরেও আক্রান্ত হই। আমি জানতাম যে এটা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। তখন আমি চিকিৎসক এবং ফিজিওকে বললাম, যদি এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল হতো, তাহলে আমি কী করতাম? আমি এভাবে অসুস্থ হয়ে থাকতে পারি না। যা করতে হয় করুন। ওষুধ দিন কিংবা ইনজেকশন, আমাকে ম্যাচের জন্য তৈরি করে দিন।’
অসুস্থতা নিয়ে মাঠে নেমে সাফল্য পাওয়া মোটেই সহজ ছিল না। তবে চিকিৎসা নিয়ে খেলে ম্যাচসেরা সূর্যকুমারকে উজ্জীবিত করেছে দেশের জার্সি।
মাঠের নামার সময় কেমন অনুভব করছিলেন, তা জানাতে গিয়ে আরও বলেছেন, ‘আপনি যখন দেশের জার্সি পরবেন এবং মাঠে প্রবেশ করবেন, সেই আবেগই অন্য রকম।’
আলাপচারিতায় সূর্যকুমারের কাছে তাঁর সাফল্যের রহস্য জানতে চাওয়া হয়। সূর্যকুমারের উত্তর, ‘আমি অনুশীলনে সেভাবেই ব্যাটিং করি, যেভাবে ম্যাচে করি। আমি সব সময় নিজেকে মেলে ধরায় বিশ্বাস করি। যদি এভাবে করে ৭৫ শতাংশের বেশি সাফল্য পাওয়া যায়, তবে কেন নয়? যদি আমার সবকিছু ঠিকঠাক হয়, চেষ্টা করি সেই ধারায়ই ম্যাচ শেষ করতে।’