চোটের কারণে এবারের এশিয়া কাপ খেলা হচ্ছে না তামিম ইকবালের। তবে খেলায় না থাকলেও অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের সময়টা কাটছে ব্যস্ততায়। লন্ডনে কোমরের চোটের চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি এ মাসের শেষ সপ্তাহে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতকাল তিনি প্রায় দুই মাস পর পুরোদমে ব্যাটিং শুরু করেন। আরও কিছুদিন ব্যাটিং অনুশীলনের পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় ফিরতে পারবেন তিনি, এমন আশা এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের।
আজ মিরপুরে একটি শোরুম উদ্বোধন করতে এসে এ কথা জানান তামিম। সাংবাদিকদের নিজের শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে যে প্রোগ্রামটা দেওয়া হয়েছে, আমি আল্লাহর রহমতে প্রতিটা প্রোগ্রামে ভালো করছি। ১০ তারিখের পর থেকে ১০ দিনের মতো সময় আছে, তখন অলমোস্ট ফুল ইন্টেনসিটিতে অনুশীলন করার পরিকল্পনা আছে। এখন অবধি কোনো সেট ব্যাক হয়নি। কিছু জিনিস থাকেই, কিন্তু ওই পর্যায়ের ব্যথা অনুভব করিনি। পরের এক সপ্তাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ফুল ইন্টেনসিটিতে প্র্যাকটিস করার পরিকল্পনা আছে। আমি খুব আশাবাদী ও ইতিবাচক যে নিউজিল্যান্ড সিরিজের শুরু থেকে খেলতে পারব।’
ওদিকে বাংলাদেশ দল এশিয়া কাপে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতে হেরেছে। দলের সঙ্গে না থাকলেও বাংলাদেশ দল এশিয়া কাপে কেমন করছে, সেদিকে স্বাভাবিকভাবেই চোখ আছে তামিমের, ‘খেলা তো দেখা হচ্ছে। দল ভালো না খেললে হতাশ অবশ্যই হই।’ তবু বাংলাদেশের ওয়ানডে দলটাকে নিয়ে তামিমের আস্থার জায়গাটা বিশাল, ‘একটা–দুইটা খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে গত পাঁচ-ছয় বছরের কঠোর পরিশ্রম ভুলে যাব। এটা হতেই পারে না। আমরা এখনো খুব ভালো দল ওয়ানডেতে। দুই-একটা ম্যাচে হতেই পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ড্রেসিং রুমে যারা আছে, তারা সবাই বিশ্বাস করে, গত দুই তিন ম্যাচে যা হয়েছে, আমরা তার চেয়ে ভালো দল।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তামিমকে আরও একটি প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তামিম তা এড়িয়ে যান কৌশলে, ‘খেলা নিয়ে এখান থেকে মন্তব্য করা উচিত হবে না। কারণ, যারা ওখানে আছে, আমি নিশ্চিত তারা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কেবল আমি দলে নেই, বাইরে আছি দেখে একটা মন্তব্য করে দিলাম, আমি তেমন লোক নই। আমিও দলেরই অংশ। নিজেকে তাড়াতাড়ি তৈরি করার চেষ্টা করছি, যেন সুযোগ এলে সেরাটা দিতে পারি। খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয় বলে মনে করি।’
কদিন আগেও তামিমই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ছিলেন। এখন সে দায়িত্বটা সাকিব আল হাসানের কাঁধে। তিনি এর মধ্যে বাংলাদেশকে তিনটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে মূল্যায়ন করার জন্য যা যথেষ্ট নয়। তবু সংবাদকর্মীরা সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়ে তামিমের কাছে জানতে চান। তামিম অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিতর্কের ফাঁদে পা দেননি, ‘যখন আমি অধিনায়ক ছিলাম তখন একভাবে ভেবেছি। নতুন অধিনায়কের হয়তো আলাদা পরিকল্পনা আছে, যেটা আমি জানি না। আমি একজনের পরিকল্পনার ব্যাপারে যদি এতটা নিশ্চিত না হয়ে মন্তব্য করি, ওটা একটা বিতর্ক হয়ে যাবে। আমার মনে হয় নতুন অধিনায়ক-ম্যানেজমেন্টের ভালো পরিকল্পনা আছে। ওরা সেভাবে এগোচ্ছে। দলে ঢোকার পর আমরা দেখব।’