এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কোনো সংস্করণেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি নিল ব্র্যান্ড। সেই ব্র্যান্ডই কিনা আসছে ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্বে দেবেন!
৫০ বছরের মধ্যে মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। দলের টেস্ট অভিষেকে যাঁরা অধিনায়ক ছিলেন, তাঁদের বাদ দিয়েই এই হিসাব করা। সেই হিসেবে গত ৫০ বছরে এই ‘কীর্তি’ ছিল শুধু নিউজিল্যান্ডের লি জার্মনের। ১৯৯৫ সালে টেস্ট অভিষেকেই ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
টেস্ট ইতিহাসে ৩৪ জন খেলোয়াড় অভিষেকেই অধিনায়ক ছিলেন। তাঁদের ১১ জনের অভিষেক ও দলের অভিষেকও একই ম্যাচে ছিল। পাকিস্তানের অভিষেক টেস্টেই শুধু অধিনায়কের অভিষেক হয়নি। দলটির অধিনায়ক আবদুল হাফিজ কারদার যে আগেই ভারতের হয়ে টেস্ট খেলেছেন।
আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। যে দলে চলমান ভারত সিরিজে খেলা তিনজন ক্রিকেটার আছেন—কিগান পিটারসন, ডেভিড বেডিংহাম ও জুবায়ের হামজা। তাঁদের মধ্যে হামজা আবার দলে ঢুকেছেন চোটে পড়া টেম্বা বাভুমার বদলি হিসেবে।
ভারত সিরিজের বেশির ভাগ ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ড সিরিজে না থাকার কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগ (এসএটি২০। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট শুরু হতে যাচ্ছে জানুয়ারির ১০ তারিখে। এ টুর্নামেন্টের অংশ হওয়ার কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন না নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, এইডেন মার্করাম, ত্রিস্তান স্টাবস, কাইল ভেরেইনা, মার্কো ইয়ানসেন, উইয়ান মুল্ডার, জেরাল্ড কোয়েৎজি, টনি ডি জর্জি, নান্দ্রে বার্গার, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও কেশব মহারাজ। ডিন এলগার এই টুর্নামেন্টে খেলবেন না, তবে তিনি ভারত সিরিজ শেষে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ঘোষিত দলে এখনো আটজনের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সব মিলিয়ে তাঁদের ৫০ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। এই স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হলেন ডুয়ান অলিভিয়ের। ২০১৭ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ১৫টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। পিটারসনের ১২ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ব্র্যান্ড প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশ অভিজ্ঞ। ৫১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৬ শতক ও ২০ অর্ধশতকে তাঁর রান ২৯০৬। গড় ৩৯.২৭। সিরিজ শুরু ৪ ফেব্রুয়ারি।