আফগানিস্তান হারায় এখন কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে পাকিস্তান
আফগানিস্তান হারায় এখন কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে পাকিস্তান

মনে করেন আমির সোহেল

পাকিস্তান সেমিফাইনালে খেলুক, এটা ‘ঐশ্বরিক ইচ্ছা’

৫ উইকেটে ৬৯ রান থেকে ৯১ রানে ৭ উইকেট। আফগানিস্তানের জয় তখন হাত ছোঁয়া দূরত্বে। সেখান থেকেই গতকাল সব হিসাব–নিকাশ পাল্টে অবিশ্বাস্যভাবে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জিতিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই জয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সুবিধা হয়েছে পাকিস্তানেরও। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যেত আফগানিস্তান, সমীকরণটা আরও কঠিন হয়ে যেত পাকিস্তানের।

কিন্তু আফগানরা শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ায় এখন পাকিস্তান তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। ম্যাক্সওয়েল-তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়ার এ জয়কে তাই পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেলের মনে হয়েছে ‘ঐশ্বরিক ইচ্ছা’। আমিরের মতে, সেই ঐশ্বরিক ইচ্ছার কারণেই পাকিস্তান সেমিফাইনাল খেলবে। আর তাই আফগানিস্তানের জয়ের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল।

গতকাল অস্ট্রেলিয়া–আফগানিস্তান ম্যাচ শেষে এক টক শোতে আমির বলেছেন, ‘ঐশ্বরিক ইচ্ছাও হচ্ছে পাকিস্তান সেমিফাইনালে খেলুক। (আফগানিস্তান) জেতা ম্যাচ হেরে গেছে। ম্যাক্সওয়েল তাদের রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল এবং সে তার জীবনের সেরা ইনিংসটি খেলেছে।’

ম্যাক্সওয়েলের প্রশংসা করতে গিয়ে অবশ্য সেখানেই থামেননি আমির। তিনি আরও বলেছেন, ‘সম্ভবত সে ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা ইনিংসটি খেলেছে। যেখানে বিশ্বকাপসহ সব প্রতিযোগিতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সম্ভবত এটি সর্বকালের সেরা ইনিংসও। এখনো সেই ইনিংসের নেশাই তো শেষ হচ্ছে না। এমনকি মনে হচ্ছিল সে আরও ৩–৪ ওভার খেলুক। যেভাবে সে চোট নিয়েও ওদের মেরেছে, সেটি (অবিশ্বাস্য)। ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর (অষ্টম উইকেট জুটিতে) ১২ রান করেছে (প্যাট) কামিন্স, আর একাই ১৮০ রানের কাছাকাছি করেছে ম্যাক্সওয়েল। বাচ্চাদের যেভাবে মারে সেভাবেই সে মেরেছে।’

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আমির সোহেল

ম্যাক্সওয়েল যখন বেধড়ক মারছিলেন, তখন আফগান বোলরদের করণীয় কী ছিল, জানতে চাইলে আমির বলেন, ‘সে সময় আফগানিস্তানের বোলারদের মস্তিষ্ক আর কাজ করছিল না। তারা বুঝতে পারছিল না যে কী করা উচিত। তাদের রীতিমতো বিবশ করে রেখেছিল ম্যাক্সওয়েল। আমরা অভিনবত্বের কথা বলি, কিন্তু সে যা করেছে, তা কি মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিল? সে যা করছিল, তাতেই ছক্কা হচ্ছিল। সেখানে বোলার আর কি করতে পারত? শেষ দিকে ম্যাক্সওয়েল যখন চোটের জন্য বিরতি নিয়েছিল, এরপর তাকে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করা উচিত ছিল। কিন্তু তাদের মাথা কাজ করছিল না। তারা বুঝতেই পারছিল না কী করা উচিত। যখন সে কোনো রকমে দাঁড়িয়ে খেলছিল, তখন বাইরে বল দিলে কিছু হলেও হতে পারত। কিন্তু যেভাবে সে খেলেছে, আমরা এখনো সেই ঘোরে আছি। এটা আসলে কী দেখলাম আমরা!’