গত সপ্তাহে শেষ হওয়া পাকিস্তান–নিউজিল্যান্ড সিরিজে পাকিস্তান দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন শহীদ আফ্রিদি। পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁকে। কিউইদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ ড্র করলেও তিন ওয়ানডে সিরিজে ২–১ ব্যবধানে হেরে যায় বাবর আজমের দল।
আফ্রিদি বলেছেন, নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর তাঁকে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব দিতে চেয়েছে পিসিবি। তবে পূর্ণ মেয়াদে প্রধান নির্বাচক হওয়ার ইচ্ছা নেই তাঁর। নির্বাচকের দায়িত্ব না নিয়ে উল্টো সহ–অধিনায়ক ইস্যুতে পিসিবি প্রধানের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
পাকিস্তানের সামা টিভির ‘গেম, সেট, ম্যাচ’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ‘প্রধান নির্বাচক হিসেবে আমার মেয়াদ বাড়াতে চেয়েছিল পিসিবি। তবে চ্যারিটির পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় কথা দেওয়া আছে আমার। আমি অবশ্য ভবিষ্যতে অনূর্ধ্ব–১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটারদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের সহ–অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শান মাসুদকে। তবে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে বাবরের সহকারী বানানোর বিষয়টি পছন্দ ছিল না আফ্রিদির। এ বিষয়ে সোজাসাপটাই নাজাম শেঠির সমালোচনা করেছেন আফ্রিদি, ‘শান মাসুদকে সহ–অধিনায়কত্ব দেওয়া উচিত হয়নি। পিসিবি চেয়ারম্যানের উচিত, অধিনায়ক বা প্রধান নির্বাচককে আস্থায় নেওয়া। সহ–অধিনায়ক হিসেবে মাসুদ আমার বা বাবরের বিবেচনায় ছিল না।’
পাকিস্তানের সাবেকদের মধ্যে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে। মাঝে বাবরকে তিন সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জনও উঠেছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাবরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা আফ্রিদিও বললেন, নেতৃত্বে ঘাটতি আছে বর্তমান অধিনায়কের। তবে তিন সংস্করণে ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়ক তত্ত্বে তিনি একমত নন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাবরের অধিনায়ক হিসেবে উন্নতির প্রচুর জায়গা আছে। তবে তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের পক্ষে নই আমি। এর বদলে টেস্ট আর ওয়ানডের জন্য একজন, টি–টোয়েন্টির জন্য ভিন্ন একজনকে নেতৃত্ব দেওয়া যায়।’