অস্ট্রেলিয়ার পর এবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার পর এবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ

আফিয়া-স্বর্ণা-মারুফায় বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়

আফিয়া প্রত্যাশা ও স্বর্ণা আক্তারের ঝোড়ো ফিফটি, ব্যাটিংয়ে দিলারা আক্তারের অবদানের পর মারুফা আক্তারের দারুণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দেওয়ার পর এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জিতে সুপার সিক্সের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল দিশা বিশ্বাসের দল।

২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অধিনায়ক ভিস্মি গুনারত্নে ও দেউমি ভিজেরত্নের দুটি ফিফটির পরও ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানে আটকে গেছেন শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার মারুফা আক্তার ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

আগের ম্যাচে শুরুটা দারুণ করেছিলেন আফিয়া। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হলে আজও শুরুটা হলো অমনই। মিষ্টি সাহার সঙ্গে আফিয়ার ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ৭৫ রান, যে জুটিতে মিষ্টির অবদান ১৪ রান। আফিয়া ফিফটি পূর্ণ করেন দুলাঙ্গা দিসানায়েকে ছক্কা মেরে, ৪১ বলেই। অবশ্য ফিফটির পরপরই পেসার রেশমি নেত্রঞ্জলির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। ইনিংসে এ ডানহাতি ব্যাটার মারেন ৫টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা।

ঝোড়ো ফিফটি করেন আফিয়া

নেত্রঞ্জলির ওই ওভারেই রানআউট হন মিষ্টিও। ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে একটু চাপেই পড়ে বাংলাদেশ। তবে সে চাপ ঠিক যেন বোধ করেননি স্বর্ণা। নেত্রঞ্জলির ওই ওভারের পর আসেন দিসানায়েকে, স্বর্ণা মারেন ইনিংসে তাঁর দুই ছক্কার প্রথমটি। পরের ওভারে নেত্রঞ্জলিকে আরেকটি ছক্কা মারেন দিলারা।

১৬ ওভার শেষেও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১২৩ রান। শেষ ৪ ওভারে ওঠে ৪২ রান। স্বর্ণা ফিফটি পূর্ণ করেন ইনিংসের শেষ বলে, তাঁর লাগে মাত্র ২৮ বল। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেরা খেলোয়াড় হওয়া দিলারা অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩১ রান করে। স্বর্ণা-দিলারার জুটিতে ওঠে ৮৬ রান।

শ্রীলঙ্কার রানতাড়ায় এরপর প্রথম আঘাতটি করেন মারুফা, প্রথম ওভারেই তাঁকে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন নেত্মি সেনারত্নে। পরের ব্রেকথ্রু দেন অধিনায়ক দিশা, তাঁর ইনসুইংয়ে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন নিসানসালা। ২৪ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

২ উইকেট নেন মারুফা

বড় রান তাড়ায় শুরুর ধাক্কা অবশ্য দলটি সামাল দেয় দারুণভাবেই। অধিনায়ক গুনারত্নে ও ভিজেরত্নের জুটি শ্রীলঙ্কাকে আশাও জুগিয়েছিল। দুজনই পান ফিফটির দেখা। তবে ভিজেরত্নেকে এলবিডব্লু করে তাঁদের ৯৬ রানের জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে আবারও এগিয়ে নেন মারুফা। প্রথম ১০ ওভারে ৬৬ রান তোলা শ্রীলঙ্কা পরের ৬ ওভারে তোলে ৬৪ রান। তবে রান ও বলের ব্যবধান নাগালে আনতে পারেনি তারা। গুনারত্নে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৪ বলে ৬০ রানে, ৮টি চারের সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কা।

দিশার করা শেষ ওভারের শেষ তিন বলেই চার মারেন দিসানায়েকে। শেষ ওভারে অবশ্য নাটকও হয়। চতুর্থ বলের পরই আম্পায়ার সারাহ বার্লেট ঘোষণা দেন, ওভারে বাকি আর একটি বল। সে বলের পর জয় উদ্‌যাপনও শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য আবার শুরু হয় খেলা। দিসানায়েকে মারেন আরেকটি চার, তবে ম্যাচের ফল বদলায়নি তাতেও।