গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। টি–টোয়েন্টিতে দুই দলের এটি ১৫তম ম্যাচ। আগের ১৪ দেখায় ১৩টিতেই জিতেছে ভারত। বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি হলেও সেটি আবার ভারতে, ২০১৯ সালে দিল্লিতে। এবার জিতবে কে?
ভারতের বিপক্ষে সিরিজে নতুন জার্সি পরে খেলবে বাংলাদেশ। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ দলের নতুন জার্সি উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
টসে জিতেছেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। বেছে নিয়েছেন বোলিং। যার অর্থ, ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ।
সূর্যকুমারের মতে ম্যাচের শেষের দিকে উইকেটের আচরণ খুব একটা বদলাবে না বলে ধারণা তার। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল বলেছেন, টসে জিতলে তিনিও বোলিংই নিতেন।
ভারতের হয়ে অভিষেক হচ্ছে পেসার মায়াঙ্ক যাদব ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নীতিশ কুমারের। এ ছাড়া ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দলে ফিরেছেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
ভারত একাদশ: অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যাসমন, সূর্যকুমার যাদব, নীতিশ কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, রিংকু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর, বরুণ চক্রবর্তী, অর্শদীপ সিং ও মায়াঙ্ক যাদব।
ঠিক এক বছর পর বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টি খেলতে নামছেন পারভেজ হোসেন। ২২ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ওপেনার বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর, এশিয়ান গেমসে। কাকতালীয়ভাবে সেই ম্যাচের প্রতিপক্ষও ছিল ভারত।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম।
ভারতের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজটি শুধু দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বাংলাদেশের কয়েকজন খেলোয়াড়ের জন্য ব্যক্তিগত দিক থেকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিপক্ষে তাদের মাঠে ভালো খেলতে পারলে কারও কারও সামনে খুলে যেতে পারে আইপিএলের দরজা।
বিস্তারিত পড়ুন: আইপিএলের দৃষ্টিকাড়ার সিরিজ
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেছেন লিটন দাস ও পারভেজ। স্ট্রাইক নিয়েছেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা পারভেজই। ভারত অধিনায়ক প্রথম ওভারে বল তুলে দিয়েছেন অর্শদীপ সিংয়ের হাতে।
ঠিক আগের বলটিতেই চার মেরেছিলেন। সেটি ছিল তাঁর প্রথম বল। পরের বলে আবারও বড় শট খেলতে চাইলেন লিটন দাস। বল উঠল ওপরে, সহজ ক্যাচ রিংকু সিংয়ের হাতে।
প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল।
বাংলাদেশের রান ১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৬।
লিটন দাসের পর এবার আউট আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেনও। হার্দিক পান্ডিয়ার করা আগের ওভারে ফ্লিকে ছয় মেরে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে তৃতীয় ওভারে অর্শদীপের প্রথম বলে বোল্ড হয়েছেন পারভেজ (৯ বলে ৮ রান)। গুড লেন্থের একটু আগে পড়া বল যতটা আশা করেছিলেন বাউন্স করেনি। বল পারভেজের ব্যাটের নিচের অংশে লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে।
বাংলাদেশ দল ২.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৪। নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়।
পঞ্চম ওভারেই স্পিনার নিয়ে এসেছেন ভারত অধিনায়ক। বরুণ চক্রবর্তীর দ্বিতীয় বলেই স্লগ সুইপ খেলেছেন হৃদয়, যা গেছে স্কয়ার লেগে নীতিশ কুমার রেড্ডির কাছে। যদিও বল হাতে জমাতে পারেননি তিনি। বল গেছে বাউন্ডারিতে।
ঠিক পরের বলটিও বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন হৃদয়। এটি অবশ্য গ্যাপে ফেলেই। একই ওভারের শেষ বলে রিভার্স সুইপে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে ৬ মেরেছেন নাজমুল।
বাংলাদেশ ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৯ রান। তিন বছর পর দলে ফেরা বরুণ প্রথম ওভারে দিলেন ১৫ রান। নাজমুল ব্যাট করছেন ৯ বলে ১৪ রানে, হৃদয় ১০ বলে ১২।
পঞ্চম ওভারে ১৫ রান নিলেও ষষ্ঠ ওভারেই থমকে গেছে বাংলাদেশের রান। অভিষিক্ত মায়াঙ্ক যাদব মেডেন তুলে নিয়েছেন হৃদয়ের কাছ থেকে। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ।
বাংলাদেশ ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৩৯।
খেলেছেন ১৮ বল, কিন্তু স্বস্তিতে ছিলেন না একদমই। একবার তো ক্যাচ দিয়েও বেঁচেছেন। তবে বরুণের করা ইনিংসের সপ্তম ওভারে আর পারলেন না। মিড উইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে (১৮ বলে ১২ রান)।
৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৪২। নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। নাজমুল ব্যাট করছেন ১৬ রানে।
উইকেটের পতন চলছেই। এবার মাহমুদউল্লাহ। মায়াঙ্ক যাদবকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ডিপ পয়েন্ট ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ (২ বলে ১ রান)।
আট ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন জাকের আলী।
৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪৫।
উইকেটে থিতু হতে পারলেন না জাকের আলীও। বরুণ চক্রবর্তীর গুগলিতে বোল্ড হয়েছেন এই ডানহাতি। ৬ বলের ছোট্ট ইনিংসে করেছেন ৮ রান, যার মধ্যে আছে নীতিশকে মিডউইকেট দিয়ে মারা ছক্কা।
৯.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৫৭। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দশম ওভারে জাকের আলীর উইকেট হারিয়েও ৮ রান নিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ইনিংসের অর্ধেক ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ৬৪। নাজমুল ২৪, মিরাজ ৬ রানে ব্যাট করছেন।
ভারতের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৯৬, ২০২৩ এশিয়ান গেমসে।
তিনে নামা নাজমুল হোসেন এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অনেক ক্ষণ। ইনিংসের ১২তম ওভারে থামতে হলো তাঁকেও। অফ স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১ চার ও ১ ছয়ে খেলা ২৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস থামল বড্ড অসময়ে।
বাংলাদেশের রান ১২ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৫। উইকেটে মিরাজের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রিশাদ হোসেন।
নিজের মুখোমুখি প্রথম বলেই ছয় মারলেন রিশাদ হোসেন। মায়াঙ্ক যাদবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটিতে অবশ্য বাড়তি বাউন্সই ছিল। উচ্চতা কাজে লাগিয়ে আপার–কাটে সীমানা পার করিয়েছেন রিশাদ। পরের বলে উইকেটের সোজাসুজি মেরেছেন চার।
এর আগে মিরাজও চার মারায় মায়াঙ্কের তৃতীয় ওভারটি থেকে এসেছে ১৫ রান।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৯০।
রিশাদের ইনিংসও বড় হলো না। ৫ বলের ছোট ইনিংসে ১ চার ১ ছয়ে ১১ রান করে বরুণের বলে ক্যাচ তুলেছেন পান্ডিয়ার হাতে। বাংলাদেশ হারাল সপ্তম উইকেট।
১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ৯৫। মিরাজ অপরাজিত ২০ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ।
১৫তম ওভারের শেষ বলে ওয়াশিংটন সুন্দরকে চার মারলেন তাসকিন আহমেদ। এই বাউন্ডারিতে বাংলাদেশের রান তিন অংকের ঘরে পৌঁছেছে।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১০২। মিরাজ ২২, তাসকিন ৭ রানে ব্যাট করছেন।
মিরাজের মনে হয়েছে দুই রান হয় সহজেই। কিন্ত তাসকিন এক রান নিয়েই দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। মিরাজ দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটে আসায় শেষ পর্যন্ত তাসকিনও বের হলেন। তবে রানআউট (১৩ বলে ১২ রান)। থামল অষ্টম উইকেটে ২৩ রানের জুটি।
বাংলাদেশ ১৭.২ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৫।
তাসকিনের দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের পর তিন বলও টিকলেন না শরীফুল ইসলাম। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে হয়েছেন বোল্ড (২ বলে ০)।
বাংলাদেশ ১৮ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১১৭। মিরাজ অপরাজিত ৩০ রানে, সঙ্গে মোস্তাফিজ।
২০তম ওভারের পঞ্চম বলে মোস্তাফিজকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন মিরাজ। ওই বলেই ইয়র্কারে মোস্তাফিজকে বোল্ড করেছেন অর্শদীপ সিং। ১৯.৫ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলেছে ১২৭ রান। মোস্তাফিজ আউট হয়েছেন ৫ বলে ১ রান করে। অপর প্রান্তে ৩২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন মিরাজ।
বাংলাদেশ ইনিংস: ১৯.৫ ওভারে ১২৭ (পারভেজ ৮, লিটন ৪, নাজমুল ২৭, হৃদয় ১২, মাহমুদউল্লাহ ১, জাকের ৮, মিরাজ ৩৫*, রিশাদ ১১, তাসকিন ১২, শরীফুল ০, মোস্তাফিজ ১; অর্শদীপ ৩/১৪, পান্ডিয়া ১/২৬, বরুণ ৩/৩১, মায়াঙ্ক ১/২১, নীতিশ ০/১৭, ওয়াশিংটন ১/১২)।
গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি। তবে উইকেটে বোলারদের জন্য বিশেষ সহযোগিতা আছে বলে দেখা যায়নি। কিছু অসম বাউন্স বাদে বল ব্যাটে এসেছে ভালোমতোই। আর এমন উইকেটেই ১৯.৫ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১২৭ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংসে জুটি দাঁড়ায়নি একটিও। সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি হয়েছে তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন–তাওহিদ হৃদয়ের মধ্যে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান যোগ হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদের অষ্টম উইকেট জুটিতে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পথে এককভাবে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সাত নম্বরে নামা মিরাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩২ বলে ৩৫ রান করে। আর তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুলের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ২৭ রান।
ভারতের হয়ে উইকেট–শিকার শুরু করেন অর্শদীপ সিং, শেষও করেছেন তিনিই। বাঁহাতি এ পেসার ৩.৫ ওভার বল করে ১৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তিন বছর টি–টোয়েন্টি দলে ফেরা রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীও নিয়েছেন ৩ উইকেট (৩১ রানে)।
১২৭ রান তাড়ায় শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনের প্রথম চার বলের তিনটিই পাঠান বাউন্ডারিতে, ১ ছয় ২ চার। তবে এই ওভারের শেষ বলে অভিষেককে থামিয়ে দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য একটু বেশিই বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, মিড উইকেটে দাঁড়ানো হৃদয় সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙেছেন। থেমেছে ৭ বলে ১৬ রানের ইনিংস।
২ ওভার শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ২৫। সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে উইকেটে আছেন সূর্যকুমার যাদব।
রান তাড়ায় দ্রুতই ছুটছে ভারত। ১ উইকেট হারালেও ৪.৪ ওভারেই পৌঁছে গেছে ৫০–এর ঘরে। ব্যাট করছেন সূর্যকুমার যাদব ও সঞ্জু স্যামসন।
৫ ওভার শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ৫৮। সূর্যকুমার ১২ বলে ২৩, স্যামসন ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত।
ঠিক আগের বলেই ছয় মেরেছেন। চেয়েছেন পরের বলেও। তবে মোস্তাফিজকে এ যাত্রায় টানা ছয় মারা হয়নি সূর্যকুমারের। বল গেছে ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা জাকের আলীর হাতে। ১৪ বলের ইনিংসে ৩ ছক্কা ২ চারে ২৯ রান করে গেছেন ভারত অধিনায়ক।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন নীতিশ কুমার। মোস্তাফিজের একই ওভারে সঞ্জু মেরেছেন চার।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ৭১। সঞ্জু ২৪, নীতিশ ১ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই দরকারি রানের অর্ধেকের বেশি তুলে নিয়েছে ভারত। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে আনা হয়েছে রিশাদ হোসেনকে। শেষ বলে চার না হজম করলে অবশ্য বেশ ভালো ওভারই বলা যেত। রিশাদের প্রথম ওভার থেকে সব মিলিয়ে উঠেছে ৬ রান।
ভারতের ৭ ওভারে ২ উইকেটে ৭৭।
তৃতীয় উইকেটের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসা মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সঞ্জু স্যামসন (১৯ বলে ২৯)।
তবে ভারতের রানে তাতে বাঁধ দেওয়া যাচ্ছে না। হার্দিক পান্ডিয়া নেমেই মেরেছেন চার।
৮ ওভার শেষে ভারতের রান ৩ উইকেটে ৮৪। ব্যাটিংয়ে পান্ডিয়ার সঙ্গে নীতিশ।
৯.৩ ওভারেই ১০০ ছুঁয়েছে ভারতের স্কোর। দুই ওপেনার ও অধিনায়ক সূর্যকুমারের বিদায়ের পর ভারতকে এগিয়ে নিচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও নীতিশ কুমার। পান্ডিয়া ব্যাট করছেন ১৩ রানে, নীতিশ ১১ রানে।
১০ ওভার শেষে ভারতের রান ৩ উইকেটে ১০৬।
যেন কোথাও যাওয়ার তাড়া ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার। তাসকিনের করা ইনিংসের ১২তম ওভারে ২ চার ১ ছক্কায় ম্যাচের সমাপ্তি টেনেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
১১.৫ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ১২৭ রান টপকে গেছে ভারত। পান্ডিয়া অপরাজিত থেকেছেন ১৬ বলে ৩৯ রানে। অভিষিক্ত নীতিশ মাঠ ছেড়েছেন ১৫ বলে ১৬ রান করে।
ভারতকে তাদেরই মাটিতে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য ১২৭ রানের পুঁজি খুব কমই। গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ এই রানে আটকে গিয়ে ম্যাচের প্রথম ভাগেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল।
ভারতের তারুণ্যনির্ভর দলের সামনে এই রান যে কতটা কম, সেটা বোঝা গেছে ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগেই। প্রথম চার ওভারেই ৪৪ আর দশম ওভারেই এক শ রান ছুঁয়ে ভারত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ১১.৫ ওভারেই।
যে তিনটি উইকেটের পতন ঘটেছে, তার একটি রানআউটে, অন্য দুটি মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমানের। তবে ভারতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এই উইকেটগুলো কোনো বাঁধই দিতে পারেনি।
গোয়ালিয়রে জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি জয়ের সংখ্যা ১৪–তে নিয়ে গেল ভারত। সিরিজের পরের ম্যাচ ৯ অক্টোবর দিল্লিতে।
আমাদের পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা। প্রথম বল থেকেই ইন্টেন্ট দেখানোর। তবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটেনিবাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন
আমরা শুধু নিজেদের স্কিলসের প্রয়োগ ঘটাতে চেয়েছি। আর সেটা ঠিকঠাকভাবেই কাজ করেছেভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব
বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও পারভেজ হোসেনকে ফিরিয়েছেন শুরুতেই। ইনিংসের শেষ ওভারে তুলে নিয়েছেন শেষ ব্যাটসম্যানের উইকেটও। ৩.৫ ওভার বল করে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেওয়া অর্শদীপ সিংই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
বাংলাদেশ–ভারত টি–টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৯ অক্টোবর দিল্লিতে। খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। এখন পর্যন্ত টি–টোয়েন্টিতে একবারই ভারতকে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ, সেটা ওই দিল্লিতেই, ২০১৯ সালে।