৭ টেস্টের ক্যারিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। গড় মাত্র ২৬.০৭। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন সেটাও ২০১৭ সালে, বাংলাদেশের বিপক্ষে। এরপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। তবে টেস্টে সুযোগ আসেনি।
তাহলে ৩৫ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েল টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন? ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণ ম্যাক্সওয়েল কি টেস্টকে বিদায় বলবেন? না, ম্যাক্সওয়েল টেস্টকে এখনই ‘বিদায় বলছেন না। এখনো সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করতে চান ম্যাক্সওয়েল। এই ব্যাটসম্যান আলোচিত ডেভিড ওয়ার্নার–মিচেল জনসন ইস্যুতে কথা বলতে চান না।
ম্যাক্সওয়েল জানেন, অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে এই মুহূর্তে তাঁর সুযোগ কম। টেস্ট দলে সুযোগ পেতে ম্যাক্সওয়েল চোখ রাখছেন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রের শেষ সিরিজে। এসইএন রেডিওতে ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, ‘বর্তমানে টেস্ট দলের পরিস্থিতি আমি ভালোই বুঝতে পারছি। তারা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে, বর্তমানে টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। টেস্ট দলে খুব বেশি জায়গা ফাঁকা নেই, বিশেষ করে ঘরের মাঠে খেলা হলে। কিন্তু আমি জানি, দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো সফর হলে দলের কোনো একটা ভূমিকা পালন করতে আমি বিকল্প হতে পারি। আমার মনে হয় না, ২০২৫ সালের শুরুর আগে আর কোনো দক্ষিণ এশিয়া সফর আছে। তাই আমি পরিশ্রম করে যাব, আশা করছি ওই সময়ে সুযোগ পাব।’
এশিয়া সফরে ম্যাক্সওয়েলের নিজের সুযোগ দেখার একটা কারণও আছে। ম্যাক্সওয়েল এখন পর্যন্ত যে ৭টি টেস্ট খেলেছেন, তাঁর সব কটিই এশিয়ায়। রাঁচিতে ভারতের বিপক্ষে ২০১৭ সালের মার্চে ১৮৫ বলে ১০৪ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। এ ছাড়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাক্সওয়েল এখন বিগ ব্যাশ লিগ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে তাঁর সতীর্থরা প্রস্তুত হচ্ছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে, যে সিরিজ দিয়ে টেস্টকে বিদায় বলবেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় নিজের লেখা এক কলামে ওয়ার্নারকে কেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে ঘটা করে বিদায় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো, তা নিয়ে সমালোচনা করেন সাবেক পেসার মিচেল জনসন।
টেস্টে ওয়ার্নারের ফর্মহীনতা ও ২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে ‘স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারি’তে অস্ট্রেলীয় ওপেনারের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেন নিজের লেখায়, যা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। ম্যাক্সওয়েল অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এ প্রসঙ্গে ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, ‘এই বিষয়ে কথা বলে আমি আমার নামকে শিরোনামে নিয়ে আসতে চাইছি না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ডেভি (ওয়ার্নার) অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে একজন চ্যাম্পিয়ন। তাকে দলে নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচকদের চিন্তাভাবনাও পরিষ্কার। প্রথম টেস্টে ডেভিকে দেখা ও গ্রীষ্মে তার ব্যাটে প্রচুর রান দেখার অপেক্ষায় আছি।’