শাদাব খান
শাদাব খান

শাদাবের চোট নিয়ে গুলের সন্দেহ

ঘটনা পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের। ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক শাদাব খান। পরে কনকাশন-বদলি হিসেবে তাঁর জায়গায় নামেন পাকিস্তানের আরেক লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার উসামা মির। শাদাবের এই চোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার উমর গুল। সাবেক এই পেসারের মতে, শাদাবের চোট গুরুতর ছিল না।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই চোট পান শাদাব। ইফতিখার আহমেদের করা দ্বিতীয় বলটি মিড অনে ঠেলে দিয়ে রানের জন্য দৌড়ান টেম্বা বাভুমা। দ্রুত বল তুলে নিয়ে থ্রো করেন শাদাব। কিন্তু থ্রো করার পর মাঠে পড়ে যান। মাথা গিয়ে লাগে মাটিতে। মাঠেই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্ট্রেচার মাঠে এলেও শেষ পর্যন্ত হেঁটেই মাঠ ছাড়েন শাদাব।

এরপর ম্যাচের ১৫তম ওভারে জানা যায়, শাদাব আর মাঠে নামতে পারবেন না। তাঁর জায়গায় কনকাশন–বদলি হিসেবে মাঠে নামেন উসামা। এরপর ম্যাচের শেষদিকে শাদাবকে ডাগআউটে দেখা গেছে।

শাদাবের চোট নিয়ে পাকিস্তানের এক টেলিভিশনে গুল বলেছেন, ‘পড়ে যাওয়ার পর কনকাশনের অজুহাত দিলে, ফিজিও চেক করার পর তোমাকে সাইডলাইনে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়, এসব কারণে চোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র ১ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান। ইংলিশ আম্পায়ার অ্যালেক্স ওয়ার্ফ হারিস রউফের বলে তাব্রেইজ শামসিকে এলবিডব্লিউতে আউট দিলেই জয় পেতে পারত পাকিস্তান। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ম্যাচে হারিস লুঙ্গি এনিগিডিকে আউট করে পাকিস্তানিকে এগিয়ে দেওয়ার পর ডাগআউটে অন্য সতীর্থদের সঙ্গে উদ্‌যাপন করছিলেন শাদাব।

সেই কথা মন করিয়ে দিয়ে গুল বলছেন, ‘পাকিস্তান যখন ম্যাচে ফিরেছে, তখন ডাগআউটে বসেছে, উদ্‌যাপন করেছে। এই কারণেই মনে হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবেই অজুহাত দাঁড় করিয়েছে। আমার মনে হয় না এটা গুরুতর চোট ছিল।’

চোটের পর এভাবেই মাটিতে শুয়ে পড়েন শাদাব

কনকাশন–বদলি হিসেবে নামা উসামা সেদিন ২ উইকেট নিয়েছিলেন। নিজের প্রথম ওভারে পঞ্চম বলেই এলবিডব্লু করে ফিরিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ফন ডার ডুসেনকে। এরপর আউট করেন এইডেন মার্করামকে।