•টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক) •কুইন্টন ডি কক •রিজা হেনড্রিকস •হাইনরিশ ক্লাসেন •কেশব মহারাজ •এইডেন মার্করাম •ডেভিড মিলার •লুঙ্গি এনগিডি •আনরিখ নর্কিয়া •ওয়েইন পারনেল •ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস •কাগিসো রাবাদা •রাইলি রুশো •তাব্রেইজ শামসি •ট্রিস্টান স্টাবস
বিশ্বকাপে যদি কোনো দলকে নিয়ে রহস্যোপন্যাস হয়, সেটি দক্ষিণ আফ্রিকা। কখনো শিরোপা জেতেনি, তবু ফেবারিট। কখনো ভাগ্যের ফেরে, কখনো নিজেদের ভুলে নকআউট থেকে বাদ। দলে ভরপুর তারকা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে এখন চেনা কষ্ট।
তারকা যে নেই, তা নয়; কিন্তু বড় টুর্নামেন্টে বড় ম্যাচে ধারে কমই কাটে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গত দুই সংস্করণে সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি। ২০১৪ সালে বাদ পড়তে হয় বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ইনিংসে। তখন হাশিম আমলা-ডি ভিলিয়ার্সরা ছিলেন, সঙ্গে ডুমিনি-মরকেল-স্টেইনরা। সেই দলের ডেভিড মিলার ও কুইন্টন ডি কক আছেন এবার। পেস আক্রমণও ভালো। কাগিসো রাবাদা, নর্কিয়া, এনগিডিরা অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। আর টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় মানে এই সংস্করণে তারা বিশ্বকাপ জেতার মতোই দল। কিন্তু আসলেই কী তাই! সন্দেহটা দুটো কারণে। ক্যালিস-ডি ভিলিয়ার্সদের প্রজন্মের দক্ষিণ আফ্রিকা আর মার্করাম-স্টাবসদের দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে পার্থক্যটা ধারে। আগের মতো সমীহজাগানো দল আর নেই। তার সঙ্গে যোগ করুন চিরায়ত সেই রহস্য, চাপের মুহূর্তে ভেঙে পড়ার কুখ্যাতি আছে, লোকে বলে চোকার্স। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জাগরণে আগের সেই ডাকাবুকো দলও ভেঙে গেছে।
সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটিতে সেমিফাইনাল খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবার ২০০৯ সালে, তখন ক্যালিস-স্মিথ-গিবসদের সঙ্গে বর্তমান কোচ মার্ক বাউচারও ছিলেন। টেম্বা বাভুমার এই দলে বেশ কয়েকজন ডেভিড মিলারের মতো পরীক্ষিত আর ট্রিস্টান স্টাবসের মতোই প্রতিশ্রুতিশীল। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ছয়বার সেমিফাইনাল খেলা একটা দল কীভাবে ফাইনালে উঠতে পারে না, বাভুমা-বাউচার জুটি কি তার সুরাহা করতে পারবেন? সন্দেহ ও আশার বিপরীতমুখী এই জট খুলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। মর্মান্তিক বিষয়টা হচ্ছে, রেসি ফন ডার ডুসেনকে তা ঘরে বসে টিভিতে দেখতে হবে। আঙুলের চোট তাঁকে যেতে দেয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও তাই অস্ট্রেলিয়া যেতে হচ্ছে ব্যাটিংয়ে বড় একটি স্তম্ভ ছাড়াই।
বাভুমা আছেন, ছয় বছর পর গত জুলাইয়ে দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ফেরা রাইলি রুশো আছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অভিজ্ঞ মাথা। কিন্তু ডুসেনের অনুপস্থিতিতে মিডল অর্ডারে শক্তি কমেছে, বাড়তি দায়িত্ব এইডেন মার্করাম ও ম্যালানের ওপর। ৬ ম্যাচে ২১৬.৩৬ স্ট্রাইক রেটের তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান স্টাবস ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হতে পারেন মিডল অর্ডারে। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও ওয়েন পারনেলের মতো দুজন ভালো অলরাউন্ডারও আছেন। যিনি যাঁর খেলাটা খেলতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা ঠেকায় কে! সমস্যা এখানেই। বিশ্বকাপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা কীভাবে যেন বাদ পড়ে যায়।
ইংল্যান্ডে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তবু ফাইনালের কাছাকাছি যেতে পেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের কাছে হার মাত্র ৭ রানে। পাঁচ বছর পর বাংলাদেশে ১৭২ তুলেও ভারতের কাছে হার ৬ উইকেটে। এবার কী হবে কে জানে!
সুপার টুয়েলভ
২৪ অক্টোবর বেলা ২টা হোবার্ট বি ১
২৭ অক্টোবর সকাল ৯টা সিডনি বাংলাদেশ
৩০ অক্টোবর বিকেল ৫টা পার্থ ভারত
০৩ নভেম্বর বেলা ২টা সিডনি পাকিস্তান
০৬ নভেম্বর সকাল ৬টা অ্যাডিলেড এ ২