বল হাতে একাই লড়াই করলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, ব্যাট হাতে সেটাই করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেন যা পাকিস্তানের অধিনায়ক ও সহ–অধিনায়কই। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য যা কিছু, তা ক্যাচ মিসের গল্প!
এক ড্যারিল মিচেলই ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছেন দুইবার। যে মিচেল শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন ম্যাচ জিতিয়ে। পাকিস্তানের তোলা ৫ উইকেটে ১৫৮ রান নিউজিল্যান্ড টপকে গেছে ৭ উইকেট আর ১১ বল হাতে রেখে। এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম চারটিতেই জিতল কিউইরা।
প্রথম তিন ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়ানো পাকিস্তান আজই প্রথমবার আগে ব্যাট করতে নামে। তবে আগের ম্যাচগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও শুরুতেই আউট হন সাইম আইয়ুব (৬ বলে ১ রান)। এরপর বাবর আজমের সঙ্গে রিজওয়ানের জুটিতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান।
টানা তিন ম্যাচে অর্ধশতক করা বাবর ১১ বলে ১৯ রান তুলে অ্যাডাম মিলনের শিকার হলে আবার খেই হারায় পাকিস্তান। মিডল অর্ডারের কেউই রিজওয়ানকে সঙ্গ দিতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে ডানহাতি এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৯০ রানে। ৬৩ বল খেলা ইনিংসটিতে চার (৬টি) ও ছয় (২টি) থেকে আসে ৩৬ রান। বাকি ৫৬ রানই দৌড়ে নেন রিজওয়ান।
ব্যাটিংয়ে রিজওয়ান যেমন, তেমনই বোলিংয়ে একা লড়াই করেছেন আফ্রিদি। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফিন অ্যালেনকে। এক বল পর আউট টিম সাইফার্টও। পরের ওভারে আফ্রিদি উইল ইয়াংকেও তুলে নিলে নিউজিল্যান্ডের স্কোরকার্ড পরিণত হয় ২০ রানে ৩ উইকেটে।
প্রতিপক্ষকে এভাবে চাপে ফেলেও সুবিধা আদায় করতে পারেনি পাকিস্তান। উল্টো মিচেল যে সুযোগগুলো দিয়েছেন, সেগুলোই কাজে লাগাতে পারেননি ফিল্ডাররা। মিচেলকে ১৯ রানে মোহাম্মদ ওয়াসিম আর ৩৪ রানে সাহিবজাদা ফারহান ‘নতুন জীবন’ দেন। দুটিই বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে। আরেক ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপস ৩৫ রানে থাকাবস্থায় তাঁর ক্যাচ নিতে পারেননি সাইম আইয়ুব।
শেষ পর্যন্ত এ দুজনই অবিচ্ছিন্ন ১৩৪ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। বাউন্ডারিতে জয়সূচক রান তোলা মিচেল ৭ চার ও ২ ছয়ে ৪৪ বলে করেন ৭২ রান। ৫ চার ৩ ছয়ে ৫২ বলে ৭০ রান ফিলিপসের।
ম্যাচ শেষে হারের পেছনে ক্যাচ মিসের দায়ের কথা উঠে এসেছে পাকিস্তান অধিনায়ক আফ্রিদির মুখেও, ‘এই পিচে ১৭০ রান যথেষ্ট মনে হয়েছে। আমরা যদি সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারতাম, ম্যাচটা জিততে পারতাম।’
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (আইয়ুব ১, রিজওয়ান ৯০*, বাবর ১৯, ফখর ৯, ফারহান ১, ইফতিখার ১০, নেওয়াজ ২১*; সাউদি ০/৩৬, হেনরি ২/২২, মিলনে ১/৪৯, ফার্গুসন ২/২৭, স্যান্টনার ০/২৩)।
নিউজিল্যান্ড: ১৮.১ ওভারে ১৫৯/৩ (অ্যালেন ৮, সাইফার্ট ০, ইয়াং ৪, মিচেল ৭২*, ফিলিপস ৭০*; আফ্রিদি ৩/৩৪, জামান ০/৩০, রউফ ০/২৯, ওয়াসিম ০/২৪, নেওয়াজ ০/৪১)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ড্যারিল মিচেল।