আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসেছিলেন ৬৬তম ওভারে। যদিও শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন তিনি। অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলেছেন। তবে খুব সরব যে ছিলেন, সেটিও নয়। তাঁর চেয়ে বরং মাঠে বেশি ‘সরব’ মনে হয়েছে তামিম ইকবাল বা লিটন দাসকে।
সাকিব কেন দেরিতে বোলিং করতে এসেছেন, সেটি নিয়ে কৌতূহল ছিল সবারই। কিন্তু কেউই কোনো সদুত্তর পাননি। এমনকি দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে আসা তাইজুল ইসলামও পরিষ্কার করে বলতে পারেননি, তাঁদের অধিনায়ক কী কারণে ৬৫তম ওভারের পর বোলিংয়ে এসেছেন। তা-ও বোলিং করেছেন মাত্র ৩ ওভার।
তাইজুলের ভাষ্য, ‘আমাদের তেমন কোনো কারণ বলেননি। হয়তোবা আমাদের দিয়ে বেশি বোলিং করানোর ইচ্ছা ছিল। আমরা খারাপ করলে হয়তো তিনি আসতেন।’
তাইজুল আর মেহেদী হাসান মিরাজই কাল স্পিন বিভাগটা দেখভাল করেছেন। তাইজুল তো ৫ উইকেট পেয়েছেন। মিরাজও পেয়েছেন ২ উইকেট। সাকিবকে প্রায় লাগে-ই নি। তারপরেও টেস্ট ম্যাচে সাকিবের মাত্র ৩ ওভার বোলিং করাটা নিয়ে কৌতূহল থাকছেই।
সেই কৌতূহলের কিছুটা মেটালেন আজ বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কান স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে টেলিভিশন সম্প্রচারকদের সঙ্গে আলাপে হেরাথ বলেছেন, ৬৬তম ওভারে বোলিং করতে আসাটা সাকিবের সচেতন সিদ্ধান্তই, ‘তাইজুল আর মিরাজ ভালো বোলিং করছিল। সাকিব আসলে ওদের দুজনের ছন্দে কোনো ব্যাঘাত ঘটাতে চাননি। সে কারণে ওদেরকে (তাইজুল ও মিরাজ) দিয়ে বোলিং করিয়েছেন।’
বোলিং করতে দেরিতে এলেও ব্যাটিং করতে সাকিবকে প্রত্যাশার বেশ আগেই নেমে যেতে হয়েছে। আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাটিং নেমে কিছুটা ধুঁকছে দল। কাল প্রথম দিনের শেষেই ৩৪ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতে হারিয়েছে আরও এক উইকেট। মুমিনুল ফিরতেই ব্যাট হাতে নেমে পড়তে হয়েছে সাকিবকে।