টেস্ট অভিষেক হয়েছে এখনো দু মাস পার হয়নি। ৬ সপ্তাহের মধ্যে খেলেছেন পাঁচটি টেস্ট। এর মধ্যে দুটিই লর্ডসে, যেখানে খেলার এবং অনার্স বোর্ডে নাম লেখানোর স্বপ্ন থাকে যে কোনো টেস্ট ক্রিকেটারেরই। গাস অ্যাটকিনসন শুধু খেলেনইনি, মাত্র দুই টেস্টেই লর্ডসের মর্যাদাপূর্ণ অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছেন চারবার।
২৬ বছর বয়সী ইংলিশ পেসার চতুর্থ ও সর্বশেষ নাম লিখিয়েছেন আজ। যে দিনে বল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট, তাঁর দল ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতেছে ১৯০ রানের বড় ব্যবধানে। অ্যাটকিনসনদের এ জয়ে তিন টেস্টের সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে ইংলিশরা।
অ্যাটকিনসন জুলাইয়ে লর্ডসে অভিষেক টেস্টেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন মোট ১২ উইকেট (৭ ও ৫)। দুই ইনিংসেই ন্যূনতম পাঁচ উইকেট থাকায় অনার্স বোর্ডে নাম যুক্ত হয়েছিল দুবার। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে নাম লেখান সেঞ্চুরির মাধ্যমে। ব্যাট হাতে খেলেন ১১৮ রানের ইনিংস।
ম্যাচটা যে ইংল্যান্ড জিততে চলেছে, সেটি পরিষ্কার হয়ে যায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষেই। কারণ শ্রীলঙ্কা চতুর্থ ইনিংসে ৪৮২ রান তাড়া করতে নেমে ওই দিনই ৫৩ রান তোলার পথে দুই উইকেট হারিয়ে বসে। আজ ম্যাচের চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৮ উইকেট তুলে নেওয়া। অ্যাটকিনসনের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড সেটিই সেরে নিয়েছে বিকেলের মধ্যে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন দিনেশ চান্দিমাল (৫৮), দিমুথ করুনারত্নে (৫৫), ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (৫০) ও মিলন রত্নায়েকেরা (৪৩)। এঁদের মধ্যে করুনারত্নে বাদে বাকি তিনজন এবং কামিন্ডু মেন্ডিসকে তুলে নিয়েছেন অ্যাটকিনসনই। আগের দিন নিশান মাদুশকার উইকেটও তুলে নেওয়ায় ইনিংসে অ্যাটকিনসনের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১৬-৪-৬২-৫।
অনুমিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে অ্যাটকিনসনের হাতে। ডানহাতি এ পেসার ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই একই টেস্টে ভালো করার অনুভূতি জানিয়েছেন এভাবে—‘এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারতাম না। লর্ডসে দুই অনার্স বোর্ডেই (ব্যাটিং ও বোলিং) নাম লেখাতে পারাটা অবিশ্বাস্য অনুভূতির।’
ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর ওভালে।
ইংল্যান্ড: ৪২৭ ও ২৫১ (রুট ১০৩, ব্রুক ৩৭, স্মিথ ২৬, ডাকেট ২৪; আসিতা ৩/৫২, লাহিরু ৩/৫৩)।
শ্রীলঙ্কা: ১৯৬ ও ২৯২ (চান্ডিমাল ৫৮, করুনারত্নে ৫৫, ধনাঞ্জয়া ৫০, রত্নায়েকে ৪৩, ম্যাথুজ ৩৬; অ্যাটকিনসন ৫/৬২, ওকস ২/৪৬, স্টোন ২/৫৬)।
ফল: ইংল্যান্ড ১৯০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: গাস অ্যাটকিনসন