আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, দ্বিতীয় ম্যাচেও থাকবে বৃষ্টির দাপট
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, দ্বিতীয় ম্যাচেও থাকবে বৃষ্টির দাপট

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ

পুরো ম্যাচ খেলার আশায় দুই দল

বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলছে। কিন্তু এ নিয়ে খুব বেশি হইচই নেই। শেষ কবে এমন হয়েছে, মনে করা মুশকিল। নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ দলের চলমান সিরিজটা হয়তো এমনই। বিশ্বকাপের ঠিক আগের তিন ম্যাচের সিরিজটির এমনিতেই তেমন গুরুত্ব ছিল না। নিউজিল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ দলে থাকা অনেককেই বাংলাদেশে পাঠায়নি। বাংলাদেশও মূল ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়েছে। সিরিজটি নিয়ে দুই দলের মানসিকতা প্রায় একই। বিশ্বকাপের আগে কিছু জায়গায় ঘষামাজা করা, বিকল্প ভাবনায় থাকা কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়া।

বাংলাদেশের চাহিদাপত্রটা অবশ্য একটু বড়। এই যেমন চোট থেকে ফেরা তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং কোন অবস্থায় আছে, সেটা দেখা। কিন্তু গত পরশু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচটায় শুধু বাংলাদেশ দলের বোলিংটাই দেখা গেছে। দফায় দফায় বৃষ্টির মাঝে যে ৩৩.৪ ওভার খেলা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের বোলারদের দাপটই বেশি ছিল। আজ দুই দলের দ্বিতীয় দেখায় পুরো ১০০ ওভারের খেলা হোক, এ চাওয়া থাকবে দুই দলেরই।

কিন্তু ঢাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ ম্যাচেও থাকবে বৃষ্টির দাপট। এর মধ্যে যতটা খেলা সম্ভব হবে, ম্যাচটার ফল হবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। গতকাল দুই দলের কেউই অনুশীলন করেনি। নিউজিল্যান্ড দলের ক্রিকেটাররা হোটেলে জিম ও সুইমিং করে কাটিয়েছেন। বাংলাদেশেরও অনেকের রুটিন একই ছিল। এর মধ্যেই আজকের ম্যাচের মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। সেই প্রস্তুতি প্রথম ম্যাচের চেয়ে খুব একটা আলাদা হওয়ার কথা নয়। বৃষ্টির কারণে কন্ডিশনও প্রায় প্রথম ম্যাচের মতোই থাকার কথা। উইকেট হবে স্যাঁতসেঁতে। মন্থর মিরপুরে রান করা সহজ হবে না। স্পিনাররা শুরু থেকেই টার্ন পাবেন। পেসারদের স্লোয়ার বল হয়ে উঠবে ভয়ংকর। এমন উইকেটে যে ধরনের ক্রিকেটটা খেলতে হয়, তা বাংলাদেশের মুখস্থ।

প্রথম ওয়ানডেতে জিতেছিল বৃষ্টি

বাংলাদেশ দলের সমন্বয়টা কেমন হবে, সেটাও অনুমেয়। প্রথম ম্যাচের মতোই চার বিশেষজ্ঞ বোলারের সঙ্গে দুজন অনিয়মিত বোলার নিয়ে খেলার সম্ভাবনা বেশি। মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকার মিলে প্রথম ম্যাচে ৬ ওভার বোলিং করেছেন। উইকেট অতিরিক্ত মন্থর, তাই অনিয়মিতদের দিয়েও কাজ চালানো সম্ভব, এমন আশা টিম ম্যানেজমেন্টের। প্রথম ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ নিক পোথাসও সে আভাস দিয়েছিলেন, ‘আমরা যে কন্ডিশনে খেলছি, জেতার জন্য যা দরকার, সেভাবেই দল সাজিয়েছি। ম্যাচের ফল কী হতো জানি না, তবে যতক্ষণ খেলা হয়েছে, মনে হয়েছে আমাদের পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে।’

পরিকল্পনা একই থাকলেও বদল আসতে পারে বাংলাদেশ দলের একাদশে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল খেলেছে দুই পেসার তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে। ৫.৪ ওভার বল করা পেসার তানজিম চোটে পড়েছেন। তবে চোট খুব একটা গুরুতর নয় বলেই জানা গেছে। তবু আজকের ম্যাচটাকে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিবি। তাই বিকল্প ভাবনায় দলে ডাকা হয়েছে আরেক পেসার হাসান মাহমুদকে। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে হাসান, তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলামকে এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। কিন্তু তানজিমের চোটে বেশি লম্বা হলো না হাসানের বিশ্রাম।

দলে ফিরেছেন পেসার হাসান মাহমুদ

বৃষ্টি, বিশ্রাম ও বিশ্বকাপ ভাবনার মধ্যেও নিউজিল্যান্ড সিরিজ জয়ের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশের চাই বাকি দুই ম্যাচে জয়। নিউজিল্যান্ডকে দুই ম্যাচে হারাতে পারলে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে ভগ্নাংশের হিসাবে ছয়ে উঠে আসবে বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে যা বাংলাদেশ দলকে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।