শুধু বাবর আজম নয়, জো রুট কিংবা স্টিভেন স্মিথের সঙ্গেও বিরাট কোহলির তুলনা শুনে মোহাম্মদ আমিরের হাসি পায়। কারণ? আমিরের চোখে, কোহলির সঙ্গে কারও তুলনা চলে না। আমিরের মতে, কোহলি এই প্রজন্মের সেরা।
কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দ্বিতীয়বার অবসরের ঘোষণা দেওয়া আমির এমন কথা বলেছেন ‘ক্রিকেট প্রেডিক্টা’ শোতে। পাকিস্তানের সাবেক পেসার তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারজুড়েই কোহলির গুণমুগ্ধ ছিলেন।
কোহলির সঙ্গে বাবর, রুট ও স্মিথের তুলনা শুনে আমির বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি এই প্রজন্মের সেরা। তার সঙ্গে বাবর, জো রুট ও স্টিভেন স্মিথের তুলনা শুনে হাসি পায়। আমরা বিরাট কোহলির সঙ্গে কারও তুলনা করতে পারি না। কারণ তিনি ভারতকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন, যেটা অন্য কারও জন্য অসম্ভব বলে আমার মনে হয়। শুধু এক সংস্করণে নয়, সব সংস্করণেই। বিরাট কোহলি এই প্রজন্মের সেরা ব্যাটসম্যান।’
ভারতের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫৪১ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। এর মধ্যে ৩২৪ ম্যাচ জিতেছে ভারত। রান তাড়া করে জেতানোর অভ্যাসের কারণে এক সময় তাঁর নামই হয়ে গিয়েছিল ‘চেজ মাস্টার।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় দুইয়ে কোহলি। ৬০৬ ইনিংসে ৮১ সেঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ ১০০ সেঞ্চুরি ভারতেরই কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের। ৪৬৮ ম্যাচে রুটের সেঞ্চুরিসংখ্যা ৫২টি। স্মিথ ৪৫ সেঞ্চুরি করেছেন ৪০৪ ইনিংসে।
তবে বর্তমান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেস্টে সেঞ্চুরিসংখ্যায় এগিয়ে রুট—২৭৮ ইনিংসে ৩৬ সেঞ্চুরি। স্মিথের ২০০ ইনিংসে ৩৩ সেঞ্চুরি। কোহলি ২০৬ ইনিংসে করেছেন ৩০ সেঞ্চুরি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলিকে দুবার আউট করেছেন আমির। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৬ বছর কাটিয়ে দেওয়া কোহলির এতদিন টিকে থাকার কারণ হিসেবে তাঁর পরিশ্রম ও নিবেদনকে সামনে টেনে এনেছেন আমির, ‘বিরাট কোহলির পরিশ্রম ও নিবেদন তাকে বাকিদের চেয়ে আলাদা করেছে। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডে বাজে সময় কাটানোর পর যেভাবে ফিরে এসে পরের ১০ বছর ধারাবাহিকভাবে রান করেছে, সেটা মোটেও সাধারণ কিছু নয়।’
তবে চলতি বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে সেভাবে ভালো করতে পারেননি কোহলি। ৩ টেস্টে ৫ ইনিংসে ৩১.৫০ গড়ে ১২৬ রান করেছেন। সেঞ্চুরি ১টি।
আমির কথা বলেছেন টেন্ডুলকারকে নিয়েও। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে একবারই টেন্ডুলকারকে বোলিং করেছেন পাকিস্তানের হয়ে ৩৬ টেস্টে ১১৯, ৬১ ওয়ানডেতে ৮১ ও ৬২ টি–টোয়েন্টিতে ৭১ উইকেট নেওয়া আমির।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ রানের মালিক টেন্ডুলকারকে আউট করাকে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিশেষ মুহূর্ত বলে মনে করেন আমির, ‘টেন্ডুলকারকে আউট করা ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিশেষ মুহূর্ত। আমার জীবনে তাকে একবারই বোলিং করেছিলাম, ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, যেটা দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে আউট করেছিলাম। তাকে আউট করার তিন দিন পরও ঘোর কাটেনি। বিশ্বাসই হচ্ছিল না, আমি শচীন ভাইয়ের উইকেট নিয়েছি।’