প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে আগেই। ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে আগামীকাল ভোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। টানা দুই হারের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে হারের সংখ্যাটা ১৮–তে এসে ঠেকেছে। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, কিউইদের মাঠে বাংলাদেশের ওয়ানডে খেলার সংখ্যাটাও ১৮।
নিজেদের আঙিনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড যখন এতটাই একপেশে, তখন শেষ ম্যাচের আগেও আশাবাদী হওয়া একটু কঠিন। নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড অবশ্য সে রকম মনে করছেন না। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে খুব একটা পিছিয়ে রাখছেন না তিনি। তবে আকার–ইঙ্গিতে নিউজিল্যান্ডে জিততে হলে বাংলাদেশের কী করণীয়, সেটাও বলেছেন কিউই কোচ।
নেপিয়ারে সিরিজের শেষ ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড কোচ দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের ১৬৯ রানের ইনিংসের সূত্র ধরে বললেন, ‘সৌম্য সরকার দারুণ খেলেছে, কী অসাধারণ একটা ইনিংস খেলল সেদিন। নেলসনে আমার মনে হয় তারা ৩০-৪০ রান কম করেছে।’
নিজ দলের খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতে ভুল করলেন না তিনি, ‘এখানে আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব আছে, পাওয়ারপ্লেতে তারা ৩-৪ উইকেট নিয়ে ফেলেছিল। এখানে আমরা এগিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল বেশি উইকেট নিয়ে এগিয়ে থাকা। আমাদের অনেকেই দারুণ খেলেছে, নিকোলস, ইয়ং এবং রাচিন যা করছে তা দারুণ। আমাদের সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে হবে এবং ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
স্টিডের কথায় আছে নিউজিল্যান্ডে সাফল্য পাওয়ার রেসিপিও, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে প্রথম ১০ ওভার যেকোনো দলের জন্যই কঠিন। বাংলাদেশ একমাত্র দল নয়, যারা এখানে এসে প্রথম ১০ ওভারে সংগ্রাম করেছে। অনেক ওপেনার এভাবে সংগ্রাম করেছে। দুটি নতুন বলের কারণে মুভমেন্ট বেশি হয় কিছুটা। এখানে শুরুর সময়টা উতরে যেতে হলে আপনাকে টেম্পারমেন্ট ধরে রাখতে হবে।’
নেপিয়ারের কন্ডিশন কেমন হতে পারে, সে আভাসও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথা, ‘সূর্য উঠে গেলে ব্যাট করাটা ভালো হতে পারে। উইকেট কিছুটা শক্ত মনে হয়। এখানে টিকে গেলে লম্বা সময় ব্যাট করে ভালো জুটি গড়তে হবে।’
কন্ডিশন নিয়ে অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘এখানে আশা করছি আরেকটু বেশি গতি এবং বাউন্স থাকবে। নেলসনের উইকেটে অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না। তাই কিছুটা ধীরগতির ছিল বলে মনে হয়। এখানে গতি বেশি থাকবে বলে মনে হয়।’