এশিয়া কাপ ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ
এশিয়া কাপ ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ

এশিয়া কাপ ফাইনাল

ম্যাচসেরার পুরস্কারের টাকা মাঠকর্মীদের দিলেন সিরাজ

মোহাম্মদ সিরাজের মুখ থেকে পুরো সময় হাসি সরছিল না। এশিয়া কাপের ফাইনালের ম্যাচসেরার নাম ঘোষণার পর তাঁর হাসিটা যেন আরও চওড়া হলো।

পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা হাতে নিয়ে কথা বলতে গেলেন সঞ্চালক রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে। পুরস্কারের অর্থটা শ্রীলঙ্কার মাঠকর্মীদের উপহার দেওয়ার কথা তখনই জানালেন ভারতীয় এই পেসার, ‘এই অর্থ পুরস্কারটা গ্রাউন্ডসম্যানদের জন্য। তাঁদের ছাড়া এই টুর্নামেন্টটা হতো না।’ সিরাজের এই ঘোষণাকে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের দর্শকেরা হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।

সিরাজের বোলিংয়ের প্রসঙ্গটাও এসেছে পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে। ক্যারিয়ার সেরা ২১ রানে ৬ উইকেট নেওয়া সিরাজ আজকের বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য নিজের ভাগ্যকে কিছুটা কৃতিত্ব দিলেন, ‘আমি গত কয়েক ম্যাচে ভালোই বোলিং করছিলাম। অনেক বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যাই যাই করছিল। আজ সেই ব্যাটের কানা খুঁজে পেয়েছি।’

সিরাজ আজ এমনই বিধ্বংসী ছিলেন

প্রেমাদাসার উইকেটও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, ‘উইকেটে আজ বল সিম করছিল। সুইংও ছিল। তাই আমি ফুল লেংথে বল করার চেষ্টা করেছি।’ যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামির সঙ্গে বোলিং জুটিও সিরাজকে আক্রমণাত্মক বোলিং করার সুযোগ করে দিয়েছে, ‘ফাস্ট বোলারদের মধ্যে যখন বোঝাপড়াটা ভালো হয়, তখন ভালো কিছু হয়।’

সিরাজকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও, ‘সিরাজকে অনেক কৃতিত্ব দিতেই হয়। সে সুইং করাতে পারে, সিম মুভমেন্টও করাতে পারে। সব পেসারদের মধ্যে এই দক্ষতা থাকে না। সে এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছে।’

মাঠকর্মীদের অসাধারণ অবদান ছাড়া এবারের এশিয়া কাপ সফলভাবে শেষ করা কঠিন হতো

সিরিজের মতো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান জয় শাহও শ্রীলঙ্কার কিউরেটর ও মাঠকর্মীদের পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। টুইটারে তিনি ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘নেপথ্য নায়কদের বাহবা দিতেই হয়। এসিসি ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড কলম্বো ও ক্যান্ডির কিউরেটর ও মাঠকর্মীদের ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার দিতে পেরে গর্বিত।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও নিবেদন এবারের এশিয়া কাপকে স্মরণীয় টুর্নামেন্টে পরিণত করেছে। উইকেট তৈরি থেকে শুরু করে মসৃণ আউটফিল্ড, তাঁরা জমজমাট ক্রিকেট ম্যাচের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন।’