বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে রানবন্যায় ভাসিয়েছে ফরচুন বরিশাল। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুই দিন আগেই বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৮ রান করেছে সাকিব আল হাসানের দল। সেটির আগে চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে বরিশালের স্কোর ছিল ২০১, ২০২ ও ১৭৭ রান।
গতকাল ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে ম্যাচেও ব্যতিক্রম হলো না বরিশালের বড় স্কোরের। ৮ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৭৩ রানে থেমেছে বরিশালের ইনিংস। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ইফতিখার আহমেদ অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ৫৬ রানে। রান তাড়ায় ঢাকার ইনিংস থেমেছে ৪ উইকেটে ১৬০ রানে। বরিশাল জিতেছে ১৩ রানে। এটি সাকিবদের টানা পঞ্চম জয়।
বড় রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রান খরায় থাকা ঢাকার দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও উসমান গনি ভালো শুরুই করেছিলেন। উসমান ১৯ বলে ৩০ রান করে আউট হলেও পাওয়ারপ্লেতে ৪৯ রান পেয়ে যায় ঢাকা। কিন্তু সৌম্যর ইনিংস দীর্ঘ হয়নি। তিনি ১৫ বলে ১৬ রান করে আউট হন। এরপর ঢাকার ইনিংসটা টেনেছেন নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুন। দুজন ৬০ বলে ৮৯ রান যোগ করলে ম্যাচটা শেষ ওভারে যায়।
নাসির ৩৬ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ মৌসুমে নিয়মিত রানের দেখা পাচ্ছেন ঢাকা অধিনায়ক, তবে দল পার হতে পারছে না মোটেও। মিঠুন করেছেন ৩৮ বলে ৪৭ রান।
এর আগে বরিশালের টপ অর্ডারের ব্যাটিং অবশ্য ভালো হয়নি। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারায় দলটি। তবে নিয়মিত উইকেট পড়লেও রানের গতি কমতে দেননি সাকিব। ক্রিজে এসেই বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকেন।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন, গতকাল যেন শুরু করেন সেখান থেকেই। ১১তম ওভারে মুক্তার আলীর অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া বলে পয়েন্টে ঠেলে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন সাকিব, করেন ১৭ বলে ৩০ রান। ১৭৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল।
বরিশালের ইনিংসের বাকিটা ইফতিখারময়। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৭ বলে ৮৪ রান। ইফতিখার মারেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। ৩১ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাসির।