হারলেই শেষ সেমিফাইনালের আশা। এমন সমীকরণে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। কিন্তু সিদ্ধান্তটা ভুল প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চড়াও হন তাঁরা। উদ্বোধনী জুটিতেই তাঁরা সংগ্রহ করেন ৬৮ রান।
ডেভন কনওয়ে ৩৫ রান করে ফিরলেও রাচিন রবীন্দ্র ও অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন মিলে পাকিস্তানের বোলারদের সীমানাছাড়া করতে থাকেন। এই দুজন মিলে গড়েন ১৪২ বলে ১৮০ রানের জুটি। ৭৯ বলে ৯৫ রান করেন উইলিয়ামসন আর রবীন্দ্র করেন ৯৪ বলে ১০৮ রান।
সব মিলিয়ে ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড পায় ৬ উইকেটে ৪০১ রানের সংগ্রহ। পাকিস্তানের বোলারদের বেধড়ক মার খেতে দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সমালোচনা করেন সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার।
টুইটারে আগে ফিল্ডিং করার সমালোচনা করে শোয়েব বলেছেন, ‘পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ককে আমি বুঝতে পারছি না। নিউজিল্যান্ডের বোলিং লাইনআপের অর্ধেকটাই চোটে আক্রান্ত। তারা (নিউজিল্যান্ড) এখন যা করছে, তা করার জন্য এ ধরনের উইকেটে তারা কেন আগে ব্যাটিং করল না।’
এই পোস্টের নিচে মুহূর্তের মধ্যে মন্তব্য এসে জমা হতে শুরু করে। পাকিস্তানি সমর্থকদের পাশাপাশি ভারতীয়রাও পাকিস্তানি ক্রিকেটের সমালোচনা করেন। রাহুল ওজা নামের একজন লিখেছেন, ‘যদি তারা আগে ব্যাট করত, তবে তাদের টুকটুক ব্যাটসম্যানরা ২৫০-২৬০ রানের বেশি করতে পারত না।’ আরেকজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘আরে, এটা বাবরের দোষ নয়, নিরাপত্তা বেশি ছিল, এদিক–সেদিক ঘোরাফেরা করতে পারেনি, তাই হেরে যাচ্ছে।’
কেউ কেউ পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবরের সমালোচনাও করেছেন। অমিত ঝাঁ নামের একজন লিখেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টে বাবরের অধিনায়কত্ব একেবারেই মুগ্ধ করার মতো ছিল না। বোলার বদলের সময় তার কিছু সিদ্ধান্ত বিপর্যয়কর ছিল।’ সরওয়ার খান নামের এক পাকিস্তানি সমর্থক লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের উচিত ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ বর্জন করা। এমন অপমানের চেয়ে না খেলাই বরং ভালো।’